
মোহনবাগানে নির্বাচনী হাওয়া। যদিও নির্বাচনের দিন এখনও ঠিক হয়নি। প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। তবে নির্বাচনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছে শাসক ও বিরোধী শিবির। ক্লাবের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু আবারও নির্বাচনে লড়বেন। নির্বাচনে জিতলে কী কী করবেন, তার ইসতেহার প্রকাশ করা হয়েছে। জেনে নিন, কী রয়েছে তাতে…।
বর্তমান ক্লাব প্রাঙ্গন সেনা-নিয়ন্ত্রিত ক্ষেত্রে অবস্থিত। ক্লাবে নানাবিধ চাহিদা সত্ত্বেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বহু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয় ক্লাবকে। এক্ষেত্রে নতুন পথের সন্ধান করাই হবে গঠিত নতুন কমিটির কাজ। ঐতিহ্যবাহী মোহনবাগান ক্লাব যাতে বিস্তার ও প্রসারের নিরিখে এগিয়ে যায়, নতুন সাফল্যে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তাই-ই হবে নতুন কমিটির লক্ষ্য। নতুন ক্যাম্পাসের ভাবনা রয়েছে সৃঞ্জয় বসুর নির্বাচনী ইসতেহারে।
মোহনবাগান সমর্থক যে শুধু কলকাতা বা বাংলাতেই রয়েছে তা নয়। ভিন রাজ্যে তো অবশ্যই, বিদেশেও মোহনবাগানের প্রচুর সমর্থক রয়েছে। মোহনবাগানের এই যে গ্লোবাল কমিউনিটি রয়েছে, বিশেষত বর্তমান সীমাবদ্ধতার কারণে যাঁরা সদস্যপদ থেকে বঞ্চিত, তাঁদের সামিল করানোর ক্ষেত্রে নতুন ক্লাব লয়ালটি প্রোগ্রাম চালু করার পরিকল্পনা নেবে নতুন কমিটি। এই উদ্যোগ সফল করে তুলতে একাধিক কৃতীদের নিয়ে একটি উপদেষ্টামণ্ডলী তৈরি করা হবে। ইসতেহারে এমনই বলা হয়েছে।
ক্লাবের প্রবীণ সমর্থকদের জন্য বিশেষ উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি। প্রবীণ সমর্থকদের আজীবন সদস্যপদে ফি মকুবের ভাবনা রয়েছে। যাঁরা ৫০ বছর অন্তত ক্লাবের সদস্যপদ ধরে রেখেছেন, নতুন নিয়ম চালু করে তাঁদের সদস্যপদের জন্য বার্ষিক চাঁদা মকুবের ভাবনা রয়েছে এই ইসতেহারে। ক্লাবের সঙ্গে প্রবীণ সদস্যদের সম্পর্ক ও তাঁদের আজীবন যে ভালোবাসা। এর মাধ্যমে তাঁদের সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগের ভাবনা।
ক্লাবের পরিচালন ব্যবস্থা সঠিক রাখতে ক্লাবেরই প্রাক্তনীদের অমূল্য অভিজ্ঞতা একান্ত জরুরি। সে কারণে ক্লাবের দৈনন্দিন কাজে তাঁদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও জরুরি। এই লক্ষ্যে এক্সিকিউটিভ কমিটিতে আসন সংরক্ষণের ভাবনা রয়েছে। দুটি আসন ক্লাবের প্রাক্তনীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত নেবে নতুন কমিটি। ক্লাবের ইতিহাস ও প্রাক্তনীদের অবদানের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপের পরিকল্পনা নতুন কমিটির। এমনই বলা হয়েছে ইসতেহারে।