Copa America Final 2021: তৃতীয় কিপার থেকে আশ্চর্য উত্তরণ এমিলিয়ানোর
Emiliano Martinez: প্রতিটা নায়কের উত্থানের পিছনে থাকে অনেক বঞ্চনার গল্প। এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ক্ষেত্রেও তেমনটাই। কে ভেবেছিল, নবাগত এই গোলকিপারই জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম টুর্নামেন্ট খেলতে নামার পরই নায়ক বনে যাবেন!
রিও: গাইকোচিয়া, সের্জিও রোমেরো তারপর? গত বিশ্বকাপে গোলকিপারদের ব্যর্থতা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল মেসি-ডি মারিয়াদের। তিন কাঠির তলায় একজন দক্ষ গোলকিপার দরকার। রোমেরোর উত্তরসূরি কে হবেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন আর্জেন্টিনার (Argentina) সমর্থকরা। লাতিন আমেরিকার সেরা টুর্নামেন্টের লড়াই শেষে উত্তরটা পেয়ে গিয়েছে দিয়েগোর দেশ। মেসিদের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (Emiliano Martinez) এখন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।
প্রতিটা নায়কের উত্থানের পিছনে থাকে অনেক বঞ্চনার গল্প। এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ক্ষেত্রেও তেমনটাই। কে ভেবেছিল, নবাগত এই গোলকিপারই জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম টুর্নামেন্ট খেলতে নামার পরই নায়ক বনে যাবেন! পেয়ে যাবেন গোল্ডেন গ্লাভস। পিছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে সেই লাঞ্ছনা, বঞ্চনার গল্প। ২০১১ সালে জাতীয় দলে খেলার ডাক পেয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘুরতে সময় লাগল দশ দশটা বছর। গত জুনে চিলির বিরুদ্ধে প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচে অভিষেক হয় তাঁর। সেই ম্যাচে অবশ্য গোল হজম করেন তিনি। এরপর কোপাতে এমিলিয়ানোর উপরেই আস্থা রাখেন স্কালোনি। মর্যাদার দাম দিলেন তিনি। কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে অনবদ্য গোলকিপিং। টাইব্রেকারে ৩টি শট বাঁচিয়ে দলকে ফাইনালে তোলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। মেগা ফাইনালেও দুরন্ত গোলকিপিং করলেন তিনি। অন্তিম সময়ে গ্যাব্রিয়েল বার্বোসার জোরালো শট বাঁচালেন। ৪টে ম্যাচে ক্লিনশিট থাকায় টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপারের সম্মান পেলেন মার্টিনেজ।
ক্লাব ফুটবলে ২০১২ তে আর্সেনালে সই করেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার। তবে কখনই প্রথম পছন্দের গোলকিপার হিসেবে খেলার সুযোগ পাননি। বরাবরই দ্বিতীয় বা তৃতীয় গোলকিপার হিসেবে স্কোয়াডে থাকতেন। কোনও গোলকিপার চোট পেলে তবেই শিকে ছিঁড়ত এমিলিয়ানোর। এরপর শেফিল্ড ওয়েডনেসডে, রটারডাম ইউনাইটেড, উল্ভস, গেতাফে, রিডিংয়ের মতো ক্লাবে লোনে খেলেছেন। তবে সে সব জায়গাতেও রিজার্ভ গোলকিপার হিসেবে ঠাঁই হতো তাঁর। গত বছর ৪ বছরের চুক্তিতে অ্যাস্টন ভিলাতে সই করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সেখানে অভিষেক ম্যাচেই পেনাল্টি বাঁচান তিনি। অ্যাস্টন ভিলাতে প্রথম বছর ১৫টা ম্যাচে কোনও গোল হজম করেননি এমিলিয়ানো। আর সেটাই ক্লাবের রেকর্ড। প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে জাতীয় দলের জার্সিকেই বেছে নিয়েছেন মার্টিনেজ। অভিষেক টুর্নামেন্টেই জ্বলে উঠলেন।
মার্টিনেজের উল্কার গতিতে উত্থান দেখল ফুটবলবিশ্ব। তিনিই এখন আর্জেন্টিনার নতুন বাজপাখি!
আরও পড়ুন: মেসি, এবার বিশ্বকাপটাও দাও