AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মেসির হোটেলের ঘর থেকে লুঠ টাকা ও গয়না, আতঙ্কে পরিবার

ডাকাতির ঘটনায় বড় ধাক্কা খেয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বড়সড় প্রশ্নের মুখে। কোনও ভাবেই আর এই হোটেলে থাকতে চাইছেন না মেসি ও তাঁর পরিবার।

মেসির হোটেলের ঘর থেকে লুঠ টাকা ও গয়না, আতঙ্কে পরিবার
পিএসজি জার্সিতে লিওনেল মেসি (ছবি-টুইটার)
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 3:49 PM
Share

প্যারিস: প্যারিসে (Paris) মেসির (Messi) নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেল। মেসির হোটেলের ঘরে ডাকাতি হয়েছে। যে খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা ফুটবল বিশ্বে। বিদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনা মঙ্গলবার রাতের। মেসি তখন পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত। তাঁর ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন স্ত্রী আন্তনেলা সহ সন্তানরা। এই সুযোগেই লুঠ করা (steal) মেসির ঘরে। নগদ টাকা (money) ও গয়না (jewelry) নিয়ে চম্পট দেয় মাস্ক পরা ডাকাতের দল।

মেসি যে হোটেলে আছেন, সেখানেই ছিলেন দুবাইয়ের এক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। তিনি প্রথম হোটেলে অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁর ঘর থেকে সোনার নেকলেস গায়েব। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে হোটেল কর্তৃপক্ষ দেখে মাস্ক পরা ডাকাত দল হোটেলের ওই রুমে ঢুকেছিলেন। মেসির ঘরে ডাকাতিও ও ভাবেই হোটেলের (hotel) ছাদ দিয়ে নেমে এসে হয়েছে। দুটো ঘটনার সময়ই হোটেলের ঘরে সেই সময় কেউ ছিল না। তাই ডাকাতির কাজটা খুব সহজ হয়ে যায়। প্রশ্ন হল, মেসির ঘটনার আগেই যখন বড়সড় ডাকাতি হয়েছিল, তখন কেন সতর্ক হল না হোটেল কর্তৃপক্ষ? বিশেষ করে মেসির মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের ঘরে ডাকাতির খবর যে ছড়িয়ে পড়বে, তা কি বুঝতে পারেননি তাঁরা?

ডাকাতির ঘটনায় বড় ধাক্কা খেয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বড়সড় প্রশ্নের মুখে। কোনও ভাবেই আর এই হোটেলে থাকতে চাইছেন না মেসি ও তাঁর পরিবার। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি জনিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি মেসিকে ওই হোটেল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। শুধু তাই নয়, অত্যন্ত চাপে পড়ে গিয়েছে পিএসজির কর্তারাও।

সুত্রের খবর, ৪০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের গয়না ও ১৫ হাজার ডলার নগদ অর্থ লুঠ হয়েছে মেসির হোটেলের ঘর থেকে। মেসি এই হোটেলে থাকা শুরু করার পর থেকেই হোটেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বিগুণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও এই ঘটনা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে প্যারিস পুলিশকেও। যে কারণে তদন্তের ব্যাপারে রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে স্থানীয় পুলিশ।

প্যারিসে আসার পর থেকেই পাঁচতারা এই হোটেলে আছেন মেসি। পরিবার নিয়ে থাকার জন্য একটি বাড়ি লিজ নিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। কয়েক দিনের মধ্যেই সেই বাড়িতে যাওয়ার কথা। তার আগেই এই ঘটনা।

আরও পড়ুন: জর্জিনোর সঙ্গে বিয়েতে রাজি নন রোনাল্ডোর মা দোলোরেস