শুক্রবার জোড়া বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব, সমস্যা কি আদৌ মিটবে?
শুক্রবার জোড়া বৈঠক লাল-হলুদের। প্রথমে চুক্তি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ক্লাবের প্রতিনিধিরা। এরপর সন্ধে ৭টায় কার্যকরী কমিটির বৈঠক।
কলকাতা: ক্লাব-ইনভেস্টর চুক্তি জট কোন পথে? কিঞ্চিৎ আশার আলো দেখছেন লাল-হলুদ কর্তারা। বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) কার্যকরী কমিটির বৈঠক চলাকালীনই ফোন করে চুক্তি মধ্যস্থতাকারীরা। মাঝপথেই স্থগিত হয়ে যায় বৈঠক।
শুক্রবার জোড়া বৈঠক লাল-হলুদের। প্রথমে চুক্তি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ক্লাবের প্রতিনিধিরা। এরপর সন্ধে ৭টায় কার্যকরী কমিটির বৈঠক। আইনজীবীদের পরামর্শ পাওয়ার পরই এ দিন কার্যকরী কমিটির বৈঠকে বসেন কর্তারা। কিন্তু চুক্তিপত্র মধ্যস্থতাকারীদের ফোন আসার পর মাঝপথেই বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়।
বৈঠক শেষে ক্লাবের বক্তব্য, ‘জট সমাধানে আমরা আশাবাদী। চুক্তি মধ্যস্থতাকারীদের ফোনে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছি। পরিমার্জিত চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’ শুক্রবারও ক্লাব-ইনভেস্টর চুক্তি জট কি মোড় নেয় সেটাই এখন দেখার।
এদিকে ওমিদ সিং ইস্যুতে ফের ফিফার চিঠি ইস্টবেঙ্গলে। কয়েকদিন আগেই ওমিদ সিংয়ের বকেয়া ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ক্লাবকে। এখনও সেই বকেয়া না মেটানোয় ফের ফিফার চিঠি। ৩ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া মেটানোর আবেদন করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। নাহলে ফের ট্রান্সফার ব্যানের কোপে পড়বে লাল-হলুদ। রক্ষিত ডাগার, আভাস থাপাদের বকেয়া ৯ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় ইতিমধ্যেই ট্রান্সফার ব্যানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গল-শ্রী সিমেন্ট চুক্তি জটিলতার মাঝেই এ দিন ইস্টবেঙ্গলের পুরনো ইনভেস্টর কোয়েসের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, গত বছর জুলাইয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে কোয়েসের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। সমস্ত শর্তসাপেক্ষেই ক্লাবকেই স্পোর্টিং রাইটস ফেরত দেয় কোয়েস। ইতিমধ্যেই অবশ্য পুরনো ইনভেস্টরের বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা।