
কলকাতা ডার্বি। কারও কাছে নায়ক হওয়ার ম্যাচ, কেউ বা হয়ে ওঠে খলনায়ক। অনেক ডার্বি থেকে উঠে আসে সত্যিকারের বড় তারকা। আবার এই ম্যাচে নায়ক হয়ে হারিয়ে যাওয়ার নজিরও অনেক রয়েছে। শুধু ফুটবলার নয়, কোচেদের কাছেও এই ম্যাচ স্পেশাল। কার মস্তিষ্কে কতটা বুদ্ধি, ট্যাকটিক্যালি কে কতটা দক্ষ, অনেক কিছুর পরীক্ষা হয়। রবিবারের সন্ধ্যায় এমনই পরীক্ষায় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান কোচ। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান।
মরসুমের প্রথম ডার্বি ছিল কলকাতা লিগে। ইস্টবেঙ্গল জিতেছে। কিন্তু ডুরান্ডের ডার্বি মানে আরও কঠিন পরিস্থিতি। দু-দলের বিদেশিরাও খেলবেন। টেকনিক্য়াল এরিয়ায় দুই বিদেশি কোচ। হাই প্রোফাইল ম্যাচ। লক্ষ্যও বড়। এই ম্যাচে নায়ক হয়ে উঠতে চান ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। যদিও পরিস্থিতি কিছুটা অস্বস্তির। বাবার মৃত্য়ুর কারণে পাওয়া যাবে না প্যালেস্তাইনের ফুটবলার মহম্মদ রাশিদকে। নতুন ফুটবলার জয় গুপ্তার রেজিস্ট্রেশন হয়নি। পিভি বিষ্ণু পুরোপুরি ফিট নন। ফলে খেলানো যাবেই, নিশ্চয়তা নেই।
বড় ম্যাচ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার অবশ্য বলছেন, ‘আমাদের জন্য কঠিন ম্যাচ। আমাদের কাছে কঠিন পরীক্ষা। মোহনবাগান গতবারের আইএসএল লিগ আর শিল্ড চ্যাম্পিয়ন। সব গেমেই ওরা প্রাধান্য দেখিয়েছে। কাউন্টার অ্যাটাকে ভয়ঙ্কর। এ বারের ডুরান্ডেও ওদের সব ম্যাচ দেখেছি। তবে এ বারের ইস্টবেঙ্গলও আগের চেয়ে আলাদা। চাইব, সমর্থকদের একটা জয় উপহার দিতে। আমরা হয় হিরো হব বা গেইনার হব। সমর্থকদের জন্য চাইব কাল আমরা যাতে হিরো হতে। ওদেরও দুর্বলতা আছে। আমাদের সেই সুযোগটা নিতে হবে। টেকনিক্যালি আর টেকটিক্যালি আমাদের দেখতে হবে।’