Raphinha: ‘এত সাহস?’ মেগা ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনাকে অসম্মান ব্রাজিলের রাফিনহার!
৪ বছর পর প্রত্যাবর্তন হয়েছে জাতীয় টিমে। কোথায় চুপ থাকবেন তা নয়, হুঙ্কার দিচ্ছেন? লাতিন আমেরিকার মেগা ম্যাচের আগে রাফিনহাকে (Raphinha ) নিয়ে ব্যাপক চটেছে আর্জেন্টিনা।

কলকাতা: ব্যর্থতার বয়স এখন ৬! বাড়তে পারে আরও। তার পরও এত সাহস? ১৬ বছর পর আবার চিরশত্রুর দেশে পা রেখেছে তারা। তাও এত সাহস? প্রতিপক্ষের জন্য সম্মান নেই বিন্দুমাত্র? আর কয়েক ঘণ্টা পর বিস্ফোরক একটা ম্যাচ। নব্বই মিনিটের মহাযুদ্ধের আগে ভয়ডর নেই? বুয়েনস আইরেস তো বটেই গোটা আর্জেন্টিনা ফুটছে ক্ষোভে। কাঠগড়ায় ব্রাজিলের এক ফুটবলার। ৪ বছর পর প্রত্যাবর্তন হয়েছে জাতীয় টিমে। কোথায় চুপ থাকবেন তা নয়, হুঙ্কার দিচ্ছেন? লাতিন আমেরিকার মেগা ম্যাচের আগে রাফিনহাকে (Raphinha ) নিয়ে ব্যাপক চটেছে আর্জেন্টিনা।
কী বলেছেন রাফিনহা, যে এত চটে গেল মেসির দেশ? উত্তেজক ম্যাচের আগে প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রোমারিওকে একটা ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তাতে গালিগালাজ করেছেন আর্জেন্টিনা, এমনই মন্তব্য অনেকের। যা আর্জেন্টিনা কোচের কানে পর্যন্ত পৌঁছেছে। আর্জেন্টিনাকে ৬ বছর হারাতে পারেনি ব্রাজিল। ১৬ বছর পর তাদেরই দেশে খেলতে গিয়েছে হলুদ জার্সি। লাতিন আমেরিকার গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে লিওনেল স্কালোনির টিম। বলিভিয়া যদি উরুগুয়েকে হারাতে না পারে, তা হলে আর্জেন্টিনা তৃতীয় টিম হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করবে বিশ্বকাপে। পয়েন্ট তালিকায় তিনে ব্রাজিল। ঝুলিতে মাত্র ১৫ পয়েন্ট। দুইয়ে ২২ পয়েন্ট ইকুয়েডর। এই ম্য়াচে জিততে না পারলে আরও কঠিন হবে ব্রাজিলের অবস্থান। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন এত গরম গরম কথা বলা কি যায়?
চোটের জন্য খেলবেন না মেসি। আর্জেন্টিনা তাই দুর্বল দল। এ কথা মনে করিয়ে রাফিনহা বলেছেন, ‘ওদের হারাব। প্রয়োজন পড়লে মাঠে তো বটেই, মাঠের বাইরেও। আমি নিশ্চিত, ওদের বিরুদ্ধে গোল করবই। এই ম্যাচটাতে সর্বস্ব দেওয়ার জন্য আমি তৈরি।’ এর পাল্টা আবার স্কালোনি বলেছেন, ‘ব্রাজিলের প্লেয়ার কী বলেছে, আমি জানি। তবে ও নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না। আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কিন্তু এটা একটা ফুটবল ম্যাচ। এর উর্ধ্বে গিয়ে কিছু ভাবনা। মারাকানায় কোপা আমেরিকা ফাইনালে মেসি আর নেইমারের বন্ধুত্বের ছবি দেখেছি। ওটাই মাথায় রেখে নামব।’
তাতেও কি রোমাঞ্চ কমবে? মনে হয় না। ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা তো। ইতিহাস, ভূগোল কে মনে রাখতে চায়! মাথায় শুধু ঘোরে তিনটে পয়েন্ট। এটা বোধহয় বোঝেন বলেই রাফিনহা পুরো টিমকে তাতিয়ে দিয়েছেন উত্তেজক কথা বলে।





