লন্ডন: ওলে সোল্কজায়েরের পর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United) কোচ কে হবেন? ফুটবল মহলের সব থেকে বড় প্রশ্ন এখন এটাই। ওলে-পরবর্তী যুগে রেড ডেভিলসদের কোচ হওয়ার দৌড়ে সবার প্রথম নামটা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তন কোচ জিনেদিন জিদানের (Zinedine Zidane)। কিন্তু সেক্ষেত্রেও ধাক্কা খেতে হচ্ছে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে। ইংল্যান্ড ও ফরাসি সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, জিদান প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। কারণ? তিনটি বিষয় উঠে আসছে। প্রথমত, জিদান ইংরিজি বলাতে ও বুঝতে খুব একটা সাবলীল নন। তাই ইংল্যান্ডে কোচিং করাতে চাইছেন না। দ্বিতীয়ত, তাঁর স্ত্রী ইংল্যান্ডে যেতে চান না। তৃতীয়ত, জিদানকে নাকি কোচ করতে চাইছে প্যারিস সাঁজাঁ। তিনি অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ প্যারিসে থাকতে।
তৃতীয় কারণটি দেখেই উঠছে আর একটি প্রশ্ন। মেসিদের কোচ বদল হচ্ছে কি? ফুটবল মহলের মতে, জিদান ছাড়াও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের নজর রয়েছে পিএসজি (PSG) কোচ পচেত্তিনোর (Pochettino) দিকে। জিদান রাজি না হওয়ায় ম্যান ইউ এ বার প্রাস্তাব দিতে পারে মেসিদের কোচকে। তিনি ম্যাঞ্চেস্টার আসতে রাজি হলে, প্যারিসের কোচের পদ ফাঁকা হয়ে যাবে। তখন সেখানে জিদান দায়িত্ব নিতে পারেন।
চলতি বছর মে মাসে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী। তারপর থেকে কোনও কাজ করছেন না তিনি। জিদানের রেকর্ড বুকে আছে পরপর তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি। আছে লা-লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপও। তবে জিদান না বলার পর তাঁকে আর তালিকায় রাখছে না রেড ডেভিলসরা।
এই অবস্থায় ম্যাঞ্চেস্টারের পরবর্তী টার্গেট পিএসজি কোচ মৌরিসিও পচেত্তিনো। শোনা যাচ্ছে, প্যারিসে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছেন না আর্জেন্টিনার কোচ। এখনও হোটেলে থাকছেন। প্যারিসে নিজের বাড়িও ভাড়া করেননি। প্যারিস সাঁ-জাঁ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে যেমন তাঁর ক্ষোভ আছে তেমনই মেসি-নেইমার-এমবাপের মতো তারকাদের ইগো সামলাতে পারছেন না তিনি। তাই প্যারিস ছাড়ার সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগাতে পারেন তিনি।
তবে যেই কোচ হোন না কেন, দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে ফুটবলারদের। বলছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা ওয়েন রুনি (Wayne Rooney)। বরং ক্লাবের এই অবস্থার জন্য ফুটবলাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন তিনি। “একজন কোচ মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে দেখতে পারে দল তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলছে কি না। দায়িত্বটা ফুটবলারদের। হাত নেড়ে একের পর এক মিস পাস করে যাচ্ছে ফুটবলাররা আর দোষ চাপানো হচ্ছে অন্য একজনের ওপর সেটা মেনে নেওয়া যায় না। সময় এসেছে ফুটবলারদের প্রমাণ করার। প্রিমিয়ার লিগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে হবে না, অনন্ত সমর্থদরে সামনে এটা প্রমাণ করুক যে ওরা ক্লাবের জন্য চেষ্টা করছে।”
আরও পড়ুন : Qatar World Cup: কাতার বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়বে ভারত!