Dipa Karmakar: জিমন্যাস্টিক্স থেকে হঠাৎ অবসর, ‘এটাই সেরা সময়’, বললেন দীপা কর্মকার

Dipa Karmakar Retirement: এ বছরই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ভল্ট থেকে সোনা এনেছেন। চোটের জন্য দীর্ঘদিন জাতীয় টিমের বাইরে ছিলেন। নির্বাসনের কারণে প্রায় ২ বছর নামতে পারেননি ফ্লোরে। তবুও দীপা ভারত তো বটেই, এশিয়ান জিমন্যাস্টিক্সে অন্যতম সেরা অ্যাথলিট।

Dipa Karmakar: জিমন্যাস্টিক্স থেকে হঠাৎ অবসর, 'এটাই সেরা সময়', বললেন দীপা কর্মকার
Dipa Karmakar: জিমন্যাস্টিক্স থেকে হঠাৎ অবসর, 'এটাই সেরা সময়', বললেন দীপা কর্মকারImage Credit source: PTI FILE
Follow Us:
| Updated on: Oct 07, 2024 | 6:52 PM

কলকাতা: আমেরিকান এবং রাশিয়ানদের দাপট ছিল এতদিন। সেই দুনিয়ায় কোনও এক ভারতীয় যে প্রবল ভাবে পা রাখতে পারেন, বিশ্বাসই ছিল না। অবিশ্বাসকে তীব্র আত্মবিশ্বাস দিয়ে বিস্ময়ে পরিণত করেছিলেন দীপা কর্মকার (Dipa Karmakar)। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে প্রদুনোভা ইভেন্টে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া করেন। সে আক্ষেপ যেমন রয়েছে তাঁর, তেমনই দেশবাসীর তাঁর জন্য রয়েছে প্রশংসা। রিওতে চতুর্থ হওয়া দীপা কর্মকার আর জিমন্যাস্ট ফ্লোরে নামবেন না। জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নিলেন ত্রিপুরার বাঙালি মেয়ে।

এ বছরই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ভল্ট থেকে সোনা এনেছেন। চোটের জন্য দীর্ঘদিন জাতীয় টিমের বাইরে ছিলেন। নির্বাসনের কারণে প্রায় ২ বছর নামতে পারেননি ফ্লোরে। তবুও দীপা ভারত তো বটেই, এশিয়ান জিমন্যাস্টিক্সে অন্যতম সেরা অ্যাথলিট। অলিম্পিকের আগে নির্বাসন থেকে ফিরে জাতীয় সেরা হয়েছিলেন। তাও প্যারিস অলিম্পিকের টিমে জায়গা করতে পারেননি। সেই আক্ষেপ বোধহয় অবসেরর দিকে ঠেলে দিল দীপাকে। ত্রিপুরার ৩১ বছরের মেয়ে বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না। অনেক ভেবেচিন্তে তবেই এই জায়গায় এসে পৌঁছতে পেরেছি। এটাই সেরা সময়। জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নিচ্ছি। এই ক’বছরে দেশের হয়ে পারফর্ম করা আমার কাছে সবচেয়ে তৃপ্তির বিষয় ছিল। যতটা সুযোগ পেয়েছি, কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’

এই খবরটিও পড়ুন

ভুল বলেননি দীপা। দেশের হয়ে যে ইভেন্টেই নামুন না কেন, নিজের সেরাটাই দিয়েছেন। ২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমস থেকে উত্থান। ভল্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন দেশের হয়ে। ২০১৫ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের ২টো ইভেন্ট থেকে এসেছিল সোনা ও ব্রোঞ্জ। তবে দীপা চিরকাল মনে থাকবেন প্রদুনোভার মতো কঠিন ইভেন্টকে বেছে নেওয়ার জন্য। দীপা বলেছেন, ‘আমার পায়ের পাতা ফ্ল্যাট। অনেকেই বলেছিলেন, এরকম পা নিয়ে জিমন্যাস্ট হওয়া যায় না। আমি লোককে ভুল প্রমাণ করতে পেরেছিলাম। যে স্বপ্ন আমি দেখেছি, সেটা পূরণ করতে পেরেছি। ওই সময়গুলো যখন ফিরে দেখি, দীপার জন্য আমার সত্যিই গর্ব হয়।’