কলকাতা: স্বপ্ন দুটো। এক, ৯০ মিটার লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যাওয়া। দুই, আবার সোনায় আলোয় ফেরা। এই দুই টার্গেটে চোখ রেখে কোচ বদলে ফেললেন নীরজ চোপড়া। ক্লাস বার্তোনিয়েৎজ়কে বদলে নতুন কোচ ঠিক করলেন জ্যান জেলেসনিকে। টোকিও অলিম্পিক থেকে উত্থান নীরজের। সোনা জিতে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিকে সোনা জেতা হয়নি। রুপোতেই থামতে হয়েছে ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে। সেই অবশ্য় চোটও ছিল তাঁর। অস্ত্রোপচারের পর আবার ট্র্যাকে ফিরতে চলেছেন নীরজ। দক্ষিণ আফ্রিকায় ট্রেনিং করবেন। সেখানেই কিংবদন্তি কোচ জ্যান জেলেসনি থাকবেন। অনেকেই বলছেন, জ্যানের মতো কোচ পেয়ে লাভই হবে নীরজের। টোকিও গেমসে যখন সোনা জিতেছিলেন নীরজ, তখন জ্যানের দুই ছাত্র পেয়েছিলেন রুপো ও ব্রোঞ্জ।
জ্যানকে জ্যাভলিনের দুনিয়ায় কিংবদন্তি বলা হয়। ১৯৯২, ৯৬ ও ২০০০ সালে টানা তিনটে অলিম্পিকে সোনা জিতেছেন তিনি। তাঁর বিশ্বরেকর্ড আজও অক্ষত। জ্যানের একাধিক থ্রো বিশ্বের সেরা দশে রয়েছে। সেই কারণেই জ্যানের কোচিং ক্লাসে ছাত্র সংখ্যা বিপুল। এ বার সেখানেই ছুটলেন নীরজ। জ্যান বলেছেন, ‘নীরজ কতটা প্রতিভাধর, সেটা ওর কেরিয়ারের শুরুর দিকেই বলেছি। তখনই মনে হয়েছিল, ও সেরা সাফল্য পেতে পারে। তখনও এও বলেছিলাম, দেশের বাইরে আমি যদি কাউকে ট্রেনিং করায়, সেটা হবে নীরজই। ওর বয়স কম। উন্নতির যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। নীরজের মতো ছাত্রকে পেয়ে আমিও আপ্লুত। ওকে জানতে, বুঝতে সুবিধা হবে আমার। ওকে টেকনিক্যালি আরও তৈরি করাটাই আমার লক্ষ্য।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় জ্যানের শীতকালীন ট্রেনিং ক্যাম্পে মাসখানেক থাকবেন নীরজ। দুটো অলিম্পিকে পদক পাওয়া নীরজ বলেছেন, ‘ছেলেবেলা থেকে জ্যানের ভক্ত। ওর ভিডিয়ো দেখে নিজের টেকনিক ঠিক করতাম। এই ইভেন্টে দীর্ঘদিন ধরে ওই সেরা। ওর কাছএ ট্রেনিং নেওয়াটা আমার কাজে লাগবে। কারণ আমার থ্রোয়ের স্টাইল অনেকটা জ্যানেরই মতো। কেরিয়ারকে পরের ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য জ্যানের মতো কাউকে দরকার ছিল।’