East Bengal: বৈঠকের আগেই শহরে গম্বাউ, চাকরি হারিয়ে প্রতিক্রিয়া কনস্ট্যান্টাইনের
East Bengal Club: শনিবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ইনভেস্টর কর্তারা। একপ্রকার দ্বিতীয় দফার বোর্ড মিটিং বলা চলে।
কলকাতা: শনিবার দুপুরে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবে ইনভেস্টর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ক্লাব কর্তারা। বৃহস্পতিবার বাইপাসের ধারে বিনিয়োগকারী সংস্থার অফিসে বোর্ড মিটিং করে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। শনিবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ইনভেস্টর কর্তারা। একপ্রকার দ্বিতীয় দফার বোর্ড মিটিং বলা চলে। সাম্প্রতিক অতীতে কখনও ক্লাব তাঁবুতে বোর্ড মিটিং করতে দেখা যায়নি ইস্টবেঙ্গলকে। কোয়েসের বেলায় বৈঠক হত সল্টলেকের অফিসে। শ্রী সিমেন্টের বেলায় সামনাসামনি বোর্ড মিটিংই হয়নি। ইমামির সঙ্গে গাঁটছড়ার পর বোর্ড মিটিং হয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থার অফিসেই। অতীতে কিংফিশার থাকাকালীন বোর্ড মিটিং হয়েছে ইউবির অফিসে। ইমামি অবশ্যই নতুন ট্র্যাডিশন নিয়ে আসছে ক্লাবে। নতুন মরসুমের কোচ নিয়োগ আর দলগঠন নিয়েই হবে এই বৈঠক। একই সঙ্গে টিম বাজেট বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হবে মিটিংয়ে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
সুপার কাপের পর স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের সঙ্গে আর চুক্তি করছে না ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবারের বৈঠকেই তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। পেমেন্ট কমিয়ে নাকি থাকার চেষ্টা করেছিলেন ব্রিটিশ কোচ। তাতে কাজ দেয়নি। ক্লাব এবং ইনভেস্টর কোনও পক্ষেরই স্টিফেনকে পছন্দ নয়। টুর্নামেন্টের আগে কোচ বদলের ঘটনা ময়দানে বিরল নয়। তবে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন থাকছেন না জেনেও তাঁকে সুপার কাপে কোচিং করাতে হবে, এ ঘটনা সত্যিই বিরল ময়দানে। তিনিও কিছুটা অবাক হয়েছেন এটা শুনে। তবে ব্রিটিশ কোচে মোহভঙ্গ হয়েছে সবারই। দলের পারফরম্যান্স একেবারে জঘন্য। ফুটবলারদের সঙ্গেও কনস্ট্যান্টাইনের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। চাকরি যাওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল।
শনিবারের মিটিংয়ের আগেই শহরে এসে গিয়েছেন জোসেফ গাম্বাউ। সামনের মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে তিনিই। গত বছর ওড়িশার কোচ ছিলেন। ২০০৩-২০০৯ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার যুব দলে কোচিং করিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ। ২ বছরের চুক্তিতে ওড়িশার কোচের দায়িত্ব নিলেও, আইএসএলের পরই তাঁকে ছেঁটে ফেলে ওড়িশা। শনিবারের বৈঠকে গম্বাউয়ের নাম ঘোষণা করলে অবাক হওয়ার থাকবে না।
এ দিকে শুক্রবার অনুশীলনের পর কনস্ট্যান্টাইন বলেন, ‘সুপার কাপে এর প্রভাব পড়বে কিনা জানিনা। তবে অঙ্কের বিচারে শেষ ৩ বছরে আইএসএলে সেরা পারফরম্যান্সের পরও কেন কোচ বদল হচ্ছে জানা নেই। আমাকে বলা হয়েছিল, মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।’ একই সঙ্গে পুরনো অজুহাত দেন স্টিফেন। বলেন, ‘অগাস্টে আমাদের প্রথম অনুশীলন শুরু হয়। সেপ্টেম্বর নাগাদ সব বিদেশিকে পাই। ভালো মানের ফুটবলাররা আগেই অন্য দলে চলে যায়। এলিয়ান্দ্রোকে নেওয়াটা সবচেয়ে বেশি ভুল। কি ভাবে প্রথম ছয়ে আমরা শেষ করব?’
এক সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় সুমিত পাসিকে নিয়ে স্টিফেনের এক মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যে ঘটনা ভালো ভাবে নেয়নি ভারতীয় ফুটবল। ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও সুমিত পাসিকে দিনের পর দিন খেলান কনস্ট্যান্টাইন। সুমিতপ্রীতি দেখানোয় পাসিকে স্টিফেনের ছেলে বলে কটাক্ষ করেন অনেক লাল-হলুদ জনতা। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই বিতর্কে জড়ান ইস্টবেঙ্গল কোচ। বলেন, ‘সুমিত পাসি আমার ছেলে নয়। ওর মাকে আমি কখনও দেখিনি।’ এই মন্তব্যের পর বিতর্কের ঝড় ওঠে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর ওই প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কোচের মন্তব্য, ‘পুরোটাই মজার ছলে বলেছি। পাসিকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি। ওকে আগেও কোচিং করিয়েছি।’