টোকিও: যে কোনও দেশের একটা নির্দিষ্ট শহরে অলিম্পিক (Olympics) হলেও অন্যান্য শহরগুলোও সমান ভাবে জুড়ে থাকে। বিভিন্ন দেশের ট্রেনিং ক্যাম্প আয়োজন করে হয় সে সব শহরে। জাপানের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে চলেছে। জাপানের (Japan) সব মিলিয়ে ৫২৮টা শহর অ্যাথলিটদের ট্রেনিং প্রোগ্রাম আয়োজন করার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিল। তার মধ্যে ৪০টা গুরুত্বপূর্ণ শহর নাম প্রত্যাহার করে নিল। অলিম্পিকের সঙ্গে তারা কোনও ভাবেই জুড়ে থাকতে চাইছে না। করোনা (COVID-19) ছড়াতে পারে, এই আশঙ্কায়।
ইবারাকি শহরের উপর দায়িত্ব ছিল অ্যাথলিটদের যেন একটি জরুরিকালীন হাসপাতাল তৈরি রাখা। ওই শহরের গভর্নর কাজুহিকো ওইগাওয়া অলিম্পিক আয়োজক কমিটির (IOC) অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়ে বলেছেন, কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁদের পক্ষে কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব নয়। কাজুহিকোর কথায়, ‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে গেমস বাতিল করাই উচিত। তা না হলে অন্তত পিছিয়ে দেওয়ার কথাই ভাবা হোক।’
এরই মধ্যে আবার আমেরিকার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড টিম জাপান সফর বাতিল করে দিয়েছে। টোকিও অলিম্পিকে নামার আগে সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের অ্যাথলিটদের সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। জাপানে এখনও জরুরিকালীন অবস্থা চলছে। সারা দেশে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তা যদি হয়, তা হলে গেমস আরও বড় ধাক্কার মুখে পড়বে।
বুধবারের হিসেব ধরলে করোনার প্রভাব বিন্দুমাত্র কমেনি জাপানে। ৭ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ১ হাজার টোকিওতেই। এই অবস্থাতেও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কিন্তু টোকিও গেমস নিয়ে আশাবাদী। বলা হচ্ছে, টোকিও গেমস অলিম্পিকের ইতিহাসে এক মাইলফলক হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: বেজিং অলিম্পিকের পর কেন খেলা ছাড়তে চেয়েছিলেন অভিনব, কারণ খোলসা করলেন