All England: অল ইংল্যান্ডের সেমিতেই বিদায় দুই ভারতীয় মেয়ের, ফিরল না পুরনো স্মৃতি
অল ইংল্যান্ডের মতো প্রথম সারির টুর্নামেন্টে খুব বেশি সাফল্য নেই ভারতের। ডাবলসে সেমিতে উঠেছিলেন দুই ভারতীয় মেয়ে। কিন্তু স্বপ্নপূরণ করতে পারলেন না।
বার্মিংহ্যাম: প্রায় ২২বছর পর আবার অল ইংল্যান্ড (All England) ট্রফি জয়ের হাতছানি ছিল ভারতের সামনে। এর আগে মাত্র দু’বার এই ট্রফি জেতার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ১৯৮০ সালে প্রকাশ পাডুকোন এবং ২০০১ সালে পুল্লেলা গোপীচাঁদ ভারতের হয়ে অল ইংল্যান্ড জিতেছিলেন। এ বার এই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ভারতের দুই মেয়ে। বাবার দেখানো পথেই হাঁটছেন পুল্লেলা গোপীচাঁদের মেয়ে গায়েত্রী গোপীচাঁদ (Gayatri Gopichand)। তৃষা জলির (Treesa Jolly) সঙ্গে জুটি বেঁধে উইমেন্স ডাবলসের সেমিফাইনালে পৌঁছেছেন তিনি। চিনের লি ওয়েন মেই এবং লিউ জুয়ান জুয়ানকে উড়িয়ে দেন গায়েত্রী-তৃষা। কিন্তু সেমিফাইনালেই দৌড় শেষ হল ভারতীয় জুটির। দেখে নিন TV9 Bangla র এই প্রতিবেদনে।
চিনের লি ওয়েন মেই এবং লিউ জুয়ান জুয়ানকে ২১-১৪, ১৮-২১, ২১-১২ গেমে হারিয়েছিলেন ভারতের দুই তারকা। প্রথম গেমটা গায়েত্রী-তৃষা জেতার পর চিনা জুটি প্রবল ভাবে ম্যাচে ফিরেছিলেন। দ্বিতীয় গেমটা জিতেও নেন। কিন্তু তৃতীয় গেমে ভারতীয় জুটি বিপক্ষ জুটিকে আর দাঁড়াতেই দেয়নি। ওই সময় চিনের দুই মেয়ে শাটলার প্রচুর ভুলও করেছিলেন। সেমিফাইনালে গায়ত্রী-তৃষার প্রতিপক্ষ কোরিয়ার বেক না হা এবং লি সো হির জুটি। কিন্তু সেমিফাইনালে কোরিয়ান জুটির বিরুদ্ধে ১০-২১, ১০-২১ হেরে স্বপ্ন শেষ ভারতের মেয়েদের।
কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচের পর একটি সাক্ষাৎকারে পুল্লেলা গোপীচাঁদ বলেছেন, “আমরা ট্রফি জেতার লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছি। আগের বারের উত্তেজনা অনেক বেশি ছিল। অন্তত পক্ষে একবারের জন্য হলেও আমরা অল ইংল্যান্ড খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা জানতাম এ বার আমরা সেই সুযোগ পাব। তাই প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম ঠিকঠাক। সব কিছুই স্বাভাবিক মনে হচ্ছে।”
গোপীচাঁদ যাই বলুন না কেন, অল ইংল্যান্ড বরাবরই কঠিন ঠাঁই ভারতের কাছে। তা আরও একবার প্রমাণ হল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে হলে স্ট্র্যাটেজিক ভাবে যেমন তেমনই নিজেদের ছাপিয়ে যেতে হবে। ভারতীয় শাটলাররা গত কয়েক বছরে ধারাবাহিক ভাবে ভালো পারফর্ম করছেন ঠিকই, কিন্তু সেরা মঞ্চে গিয়ে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারছেন না। গায়েত্রী গোপীচাঁদ, তৃষা জলি পর পর দু’বার অল ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে পা দিয়েছিলেন। দুই তরুণীর কাছে নিশ্চিতভাবে এটা বড় সাফল্য। কিন্তু সেমিফাইনাল থেকে ফাইনাল কিংবা ট্রফি হাতে তুলতে গেলে আরও কিছু দরকার। গায়েত্রীর বাবা গোপীচাঁদ নিশ্চয়ই ভালোই বুঝতে পারছেন।