ভুবনেশ্বর: টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) ভারতীয় হকি দলের সাফল্যের পর ফের কোনও বড় টুর্নামেন্টে নামতে চলেছেন মনপ্রীত সিংরা (Manpreet Singh)। ১৪ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে বসতে চলেছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Asian Champions Trophy) আসর। তার আগে ভারতের ক্যাপ্টেন মনপ্রীত বলছেন, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর যারা এই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেয়েছেন, তাদের এ বার নিজেদের প্রমাণ করার পালা। টোকিও গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী দলের আট সদস্য নেই আসন্ন এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ফলে যে প্লেয়াররা সুযোগ পেয়েছেন এই মঞ্চে খেলার, তারা যেন পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে নিজেদের জাত দেখিয়ে দেয়।
এই টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা ছিল গত বছর। কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ভারতের অভিজ্ঞ গোলকিপার পিআর শ্রীজেসসহ আট প্লেয়ার বর্তমানে বিশ্রামে রয়েছেন। এই টুর্নামেন্টে গোলকিপার হিসেবে তাঁর বদলে দলে রয়েছেন কৃষাণ বাহাদুর পাঠক এবং সুরজ কারকেরা। গত বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত এ বার কাপ অভিযান শুরু করবে কোরিয়ার বিরুদ্ধে।
ঢাকায় উড়ে যাওয়ার আগে ভারত অধিনায়ক বলেছেন, “টোকিও অলিম্পিকের স্কোয়াডে থাকা প্রায় ১০ জন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। যারা সাইডলাইনে বসে থাকে, একট বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পারফর্ম করার সুযোগ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে তাদের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। ফলে এই টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়া প্লেয়ারদের নিজেদের প্রতিভা এবং মেজাজ প্রদর্শন করতে হবে।”
অলিম্পিকের পর এই প্রথম টুর্নামেন্টে নামতে চলেছেন মনপ্রীতরা। এই নিয়ে তিনি বলছেন, “টোকিও অলিম্পিকের পর এটাই আমাদের প্রথম সফর তাই স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক উত্তেজনা রয়েছে। ভুবনেশ্বরে আমাদের একটি ভালো প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে এবং আমি মনে করি যেহেতু এখানকার আবহাওয়া ঢাকার মতোই, তাই আমাদের মানিয়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না।”
কেন এই টুর্নামেন্টটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “এটা শুধু প্রতিযোগিতার দিক থেকে নয়, অন্য দলের সামর্থ্য বোঝার জন্যও একটি ভালো টুর্নামেন্ট হবে। আমরা পরের বছরের এশিয়ান গেমস এবং এশিয়া কাপের আগে এশিয়ার অন্যান্য দেশের পারফরম্যান্স কেমন, ওদের খেলার ধরণ কেমন সেগুলো পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাব।”
আরও পড়ুন: Australian Open: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তালিকায় জোকার, নেই সেরেনা