Dutee Chand: বডি ম্যাসাজ থেকে কাপড় ধোয়ানো, গরীব বলে খোঁচা! হস্টেলে হেনস্থার শিকার দ্যুতি
ভুবনেশ্বরের বিজেবি কলেজের পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর উঠে আসার পর দ্যুতি জানালেন, এক সময় তিনিও শিকার হয়েছিলেন সিনিয়রদের ব়্যাগিংয়ের।
ভুবনেশ্বর: সদ্য কলেজের গণ্ডিতে পা রাখা পড়ুয়ারা একাধিকবার ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়ে থাকে। কলেজ, হস্টেল চত্ত্বরে ব়্যাগিংয়ের ঘটনা আখচার উঠে আসে। অনেক সময় ব়্যাগিং (ragging) সহ্য করতে না পেরে কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেঁছে নেয়। সম্প্রতি ভুবনেশ্বরের বিজেবি অটোনমাস কলেজের এক ছাত্রী (রুচিকা মহান্তি) সিনিয়রদের ব়্যাগিং সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। এবং তিনি সুইসাইড নোটে সেকথা উল্লেখ করেন। ক্রীড়াবিদরাও অনেক সময় ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। এশিয়ান গেমসে জোড়া পদক জয়ী ভারতীয় স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ (Dutee Chand) এ বার তুলে ধরলেন নিজের পুরনো দিনের কথা। ভুবনেশ্বরের বিজেবি কলেজের পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর উঠে আসার পর দ্যুতি জানালেন, এক সময় তিনিও শিকার হয়েছিলেন সিনিয়রদের ব়্যাগিংয়ের। ২০০৬-২০০৮ সালে ভুবনেশ্বরের স্পোর্টস হস্টেলে থাকতেন দ্যুতি। আর সেখানেই তাঁকে মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত হতে হয়েছিল।
দ্যুতি বলেন, “স্পোর্টস হস্টেলে সিনিয়ররা আমাকে ওদের বডি ম্যাসাজ করে দিতে বলত এবং ওদের পোশাক কেচে দিতে বলত। আমি ওদের কথা না শুনলে আমাকে হেনস্থা করত।”
দ্যুতি জানান, স্পোর্টস হস্টেলে তাঁর সিনিয়ররা তাঁর পরিবারের সামাজিক ও আর্থিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে তাঁকে মানসিক কষ্ট দিত। একটা সময় সিনিয়রদের অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে হস্টেল কর্তৃপক্ষের দারস্থ হন দ্যুতি। কিন্তু উল্টে তারা দ্যুতির অভিযোগ না শুনে তাঁকেই তিরস্কার করত। তিনি বলেন, “ওই ঘটনাটা আমার মানসিক অবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। আমি অসহায় বোধ করছিলাম। ব়্যাগিংয়ের ঘটনার পর খেলাধূলাতে মনোযোগী হওয়াটা খুব কঠিন। যারা এটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, তারা হস্টেলে থাকে। কিন্তু অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়ে বাড়িও ফিরে যায়।”
আবার কারও পরিণতি হয় রুচিকার মতো। তিনি বিজেবি কলেজের ইতিহাসে স্নাতকের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি সুইসাইড নোটে স্পষ্ট উল্লেখ করেন, তিনি তিন সিনিয়রের কাছ থেকে হেনস্থার শিকার হয়ে মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছিলেন। বিজেবি কলেজের হস্টেলের রুম থেকে ২ জুলাই রুচিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।