নয়াদিল্লি: টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম ভারতীয় মহিলা সাঁতারু হলেন মানা প্যাটেল (Maana Patel)। সজন প্রকাশ ও শ্রীহরি নটরাজের পর ভারতের তৃতীয় সাঁতারু (Indian swimmer) হিসেবে টোকিও যাবেন মানা। ‘ইউনিভার্সালিটি কোটা’র (Universality quota) মাধ্যমে অলিম্পিকের টিকিট নিশ্চিত হয়েছে ভারতীয় সাঁতারু মানার।
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির নিয়ম অনুযায়ী ‘ইউনিভার্সালিটি কোটা’র মাধ্যমে প্রতি দেশ থেকে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা প্রতিযোগীকে অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। টোকিও গেমসে ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক (100m backstroke) ইভেন্টে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন মানা।
অলিম্পিকে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত মানা। তিনি বলেন, “দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। আমি সতীর্থ সাঁতারুদের থেকে অলিম্পিকের ব্যাপারে শুনে এসেছি এবং টিভিতে এবং প্রচুর ছবিতে এত দিন অলিম্পিক দেখে এসেছি। কিন্তু ওখানে এবার থাকব আমি, বিশ্বের সেরা প্রতিযোগীদের সঙ্গে লড়ার সুযোগ পাব ভাবলেই কেমন যেন একটা লোম খাড়া হয়ে যাওয়ার মত অনুভূতি হচ্ছে।”
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু টুইট করে শুভেচ্ছা জানান মানাকে। তিনি লেখেন, “ব্যাকস্ট্রোক সাঁতারু মানা প্যাটেল টোকিও অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম মহিলা এবং তৃতীয় ভারতীয় সাঁতারু হয়েছেন। আমি মানাকে অভিনন্দন জানাই, তিনি ইউনিভার্সালিটি কোটার মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন করেছেন।”
Backstroke swimmer Maana Patel has become the 1st female and 3rd Indian swimmer to qualify for #Tokyo2020. I congratulate Maana, who qualified through Universality Quota. Well done!! pic.twitter.com/LBHup0F7RK
— Kiren Rijiju (@KirenRijiju) July 2, 2021
২০১৯ সালে গোড়ালির চোট পেয়েছিলেন মানা। তারপর করোনার কারণে দীর্ঘদিন অনুশীলন বন্ধ ছিল মানার। তবে চলতি বছরে আবার তিনি সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শুরু করেন। তিনি বলেন, “চোট সারিয়ে ফিরে আসাটা কঠিন। মহামারির জন্য প্রথম যখন লকডাউন হয়েছিল, সেটা যেন আমার জন্য আশীর্বাদ ছিল। ওই সময় আমি পুরোপুরি সেরে উঠেছিলাম। কিন্তু তারপর লকডাউন কেমন যেন আর সহ্য করতে পেরে উঠছিলাম না। কারণ জলের থেকে বেশি দিন দূরে থাকতে পারি না আমি।”
চলতি বছরের এপ্রিলে উজবেকিস্তান ওপেন সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন ২১ বছরের সাঁতারু মানা। ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক ইভেন্ট ১ মিনিট ০৪.৪৭ সেকেন্ডে শেষ করেছিলেন তিনি। মানা বলেন, “উজবেকিস্তানে আমার সময় নিয়ে আমি খুশি হয়েছিলাম। যদিও দুর্দান্ত কিছু ছিল না। তবে প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্টে ফিরে আসা এবং ১ মিনিট ৪ সেকেন্ডের মধ্যে শেষ করা বেশ ভালো। আমি জানি আমি সঠিক পথেই এগোচ্ছি।”
মানা টোকিও গেমসের আগে সম্প্রতি সার্বিয়া ও ইতালির ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। বেলগ্রেডে তিনি তাঁর ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে জাতীয় চিহ্ন আরও উন্নত করেন। তিনি বলেন, “একটা জিনিস আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে, আমি প্রতিটি সুযোগকে কাজে লাগাব। আমার সময়সূচী আয়োজন করা হয়েছিল। আমার ইনটেকশন নিয়ন্ত্রণ করেছিলাম। আমি কোনও সুযোগ কিছুতেই ছাড়তে চাইনি। বেলগ্রেডে ১ মিনিট ৩ সেকেন্ডে শেষ করেছিলাম আমি, টোকিওর জন্য টার্গেট রাখতে চাই ১ মিনিট ২ সেকেন্ড বা তার থেকে একটু কম।”
আরও পড়ুন: Tokyo Olympics 2020: অলিম্পিকে ছেলেকে ছেড়ে থাকা কঠিন, বলছেন সানিয়া