লুসেন: ২ নভেম্বর থেকে ধরলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে মাত্র দু’বার যোগাযোগ হয়েছে পেং সুয়াইয়ের (Peng Shuai)। দু’বারই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (IOC) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন চিনা টেনিস প্লেয়ার। পেং ভালো আছেন কিনা, তা ওই দুই ভার্চুয়াল সাক্ষাতে কি বোঝা সম্ভব, প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল উওমেন্স টেনিস অ্যাসেসিয়েশন (WTA)। তাতে যে অস্বস্তিতে পড়েছে আইওসি, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর তাই স্বীকার করে নিল, তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে প্রমাণ হয় না যে, পেং ভালো আছেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মিশে গিয়েছেন পেংও। চিনের মানসিকতার বিরোধীতা করে উইন্টার অলিম্পিকে টিম না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। অ্যাথলিটদের শীতকালীন অলিম্পিকে (Winter Olympics) অংশ নিতে সমস্যা হবে না। তবে কোচ, কর্তারা কেউ যেতে পারবেন না। সব মিলিয়ে বহুবিধ চাপের মধ্যে পড়েছে আইওসি।
পেং ও প্রেসিডেন্ট টমাস বাখের কথা হলেও তার ফুটেজ দেওয়া হয়নি কাউকে। বাখ ডিনারে নিমন্ত্রণ করেছেন তাঁকে। বেজিংয়ে পা দিয়েই চিনা টেনিস প্লেয়ারকে ডাকবেন। আর তা নিয়েই এত প্রশ্ন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস বলেছেন, ‘অ্যাথলিটদের ভালো রাখার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা করি। সেই প্রচেষ্টা আগামী দিনেও থাকবে। তার মানে এই নয় যে, কোনও বিষয়ে আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি। সেটা যেমন পারব না, তেমনই ঘটনার পুরো সত্যতাও আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। পেংকে প্রেসিডেন্ট বাখের ডিনারে ডাকার একটাই কারণ, ও কেমন আছে, সেটা জানা। ওর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা।’
২ নভেম্বর চিনের এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন পেং। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। পুরো টেনিস দুনিয়া পাশে দাঁড়িয়েছিল তাঁর। কিন্তু তারপর আশ্চর্যজনক ভাবে হারিয়ে গিয়েছিলেন পেং। বেস কিছুদিন তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডব্লিউটিএ তখন থেকে পেংকে নিয়ে স্পর্শকাতর। এমনকি নোভাক জকোভিচের মতো বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাও পেংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন। তার পরও চিনের তরফে কথা বলার স্বাধীনতা দেওয়া হয়নি পেংকে, এমনই অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Australian Open: মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে সরলেন বিয়াঙ্কা
আরও পড়ুন: PV Sindhu: বিশ্ব ট্যুর ফাইনালসে রুপোতেই সন্তুষ্ট হতে হল পিভি সিন্ধুকে