কিয়েভ: যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সামনে দেশ। শয়ে শয়ে মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দে মুহূর্তে মুহূর্তে গর্জে উঠছে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। প্রাণের ভয়ে যত্রতত্র আশ্রয় নিচ্ছে মানুষজন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে এ গলি, ও গলি। ধোঁয়ায় ঢেকেছে ইউক্রেনের আকাশ। বহুতলের গায়ে ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষত। রাজধানীর রাজপথে অস্ত্র হাতে নেমে পড়েছে ইউক্রেনবাসী। ধোঁয়া কেটে কবে আবার আলো দেখবে, জানেন না তাঁরা। যাঁরা ট্রেন বা বাস ধরে দূরে চলে যেতে পারছেন, তাঁরা নিজেদের ভাগ্যবান বলে মনে করছেন। কিন্তু যাঁরা রয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের না ঘুমনো রাত কবে কাটবে, জানা নেই। রাজধানী কিয়েভের দিকেও এগিয়ে এসেছে রুশ সেনা। সামনে তাকালেই এক অন্ধকার আগামী দেখতে পাচ্ছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত সে দেশের মানুষ। প্রাণ বাঁচানোর জন্য কেউ খুঁজছে আশ্রয়, আবার কেউ হাতে তুলে নিচ্ছে বন্দুক। তেমনই আশ্রয়ের বদলে হাতে বন্দুক তুলে নিলেন ইউক্রেনের বক্সার ভিতালি ক্লিৎচকো। দেশবাসীর প্রাণ রক্ষার্থে সামনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে প্রাক্তন হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন। সঙ্গে ডেকে নিলেন ভাই ভ্লাদিমির ক্লিৎচকোকেও। বিপদের সময় দেশের জন্য লড়াই করার সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের ৫০ বছরের এই বক্সারের। ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিতালি। তখনই তিনি বলেছিলেন, প্রয়োজনে দেশের জন্য লড়াই করতেও প্রস্তুত।
৫০ বছরের বক্সার ভিতালি বলেন, ‘আমার আর কোনও পথ বেছে নেওয়ার ছিল না। আমাকে এটা দেশের জন্য করতেই হত। আমি দেশের হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে নামব।’ খেলোয়াড়জীবনে ‘আইরনফিস্ট’ হিসেবে তিনি। সংকটকালীন সময়ে দেশের সৈন্যদের পাশে দাঁড়িয়ে বন্দুক হাতে তুলে নিতে তৈরি ভিতালি।
ইউক্রেনের বক্সার আরও বলেন, ‘আমি আমার দেশকে বিশ্বাস করি। দেশের মানুষদের বিশ্বাস করি। পুলিশ আর সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে তৈরি।’
ভিতালির ভাই ভ্লাদিমিরও প্রাক্তন হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন। ইউক্রেনের রিজার্ভ আর্মিতে এ মাসেই নিজের নাম লিখিয়েছেন তিনি। দেশের জন্য তিনিও এগিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: Ranji Trophy: দরকার ৭ উইকেট, জয়ের গন্ধ বাংলা শিবিরে