Michael Schumacher: দুর্ঘটনার ১০ বছর, কেমন আছেন মাইকেল শ্যুমাখার? এক বন্ধু দিলেন আপডেট
ফর্মুলা ওয়ানের কিংবদন্তি ড্রাইভারে কোমায় চলে যাওয়ার পর থেকে বাড়িতেই আছেন। তাঁর স্ত্রী করিনা স্বামীর যাবতীয় দেখভাল করেন। শ্যুমাখারকে দেখার সুযোগ নেই আমজনতার।

দুনিয়ায় কত কী-ই তো ঘটে! মৃত্যু থেকে ফিরে আসেন কেউ কেউ। অবিশ্বাস্য ভাবে হিসেব উল্টে দেন কেউ কেউ। প্রত্যাশা প্রবল থাকলেও, একযোগে প্রার্থনা থাকলেও কিছু ঘটনা কখনও বদলায় না। ১০ বছর ধরে তাঁর অপেক্ষায় রয়েছে সারা দুনিয়া। পরিবার বিশ্বাস রেখেছে অটুট, একদিন ঠিক নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াবেন তিনি। কিন্তু এই ১০ বছরে পরিস্থিতি পাল্টায়নি। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আল্পসে স্কি করতে গিয়ে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন মাইকেল শ্যুমাখার (Michael Schumacher)। তখন থেকেই কোমায় ফর্মুলা ওয়ানের (Formula One) সুপারস্টার। আজও কোমাতেই রয়েছেন শ্যুমাখার। এক বন্ধু তাঁকে দেখে দিলেন মন খারাপ করা তথ্য। TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত।
ফর্মুলা ওয়ানের কিংবদন্তি ড্রাইভারে কোমায় চলে যাওয়ার পর থেকে বাড়িতেই আছেন। তাঁর স্ত্রী করিনা স্বামীর যাবতীয় দেখভাল করেন। শ্যুমাখারকে দেখার সুযোগ নেই আমজনতার। পরিবারের লোকজন ও খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা একমাত্র দেখতে পান শ্যুমাখারকে। সাতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আজও অপরিহার্য। লেক জেনেভার বাড়িতে মেডিকেল টিম দেখভালের দায়িত্বে আছে তাঁর। সম্প্রতি ফর্মুলা ওয়ানের নামী সাংবাদিক রজার বেনোইত, যিনি আবার শ্যুমাখারের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও, গিয়েছিলেন লেক জেনেভার বাড়িতে। শ্যুমাখারকে দেখে কী মনে হল?
রজার বেনোইত বলেছেন, ‘শ্যুমাখারের ছেলে মাইক গত বছর একটা রেসের পর ইন্টারভিউতে বলেছিল, বাবার সঙ্গে একবার কথা বলার জন্য আমি সব দিয়ে দিতে পারি। এই বাক্যটার মধ্যে দিয়েই কিন্তু পুরো ব্যাপারটা বুঝিয়ে দেওয়া যায়। বলে দেওয়া যায়, সাড়ে তিন হাজার দিন ধরে মাইকের বাবা কেমন কাটিয়েছে। সত্যি বলতে কী, আশাহীন একটা ব্যাপার।’ শ্যুমাখারের স্ত্রী করিনাও একসময় নিজের স্বামীকে নিয়ে বলেছেন, ‘অন্যরকম আছে, তবে এখনও আছে, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’
সাংবাদিক-প্লেয়ারের সম্পর্ক যেমন হয়, শ্যুমাখারের সঙ্গে বেনোইতেরও তাই ছিল। এক সময়ের ঝামেলা ভুলে ২০১১ সালে আবার দু’জনের বোঝাপড়া হয়ে যায়। দুই বন্ধু কাছে টেনে নিয়েছিলেন একে অপরকে। ২০১১ সালে জাপানি গ্রাঁ প্রি-র কথা এখনও ভোলেননি বেনোইত। শ্যুমাখারকে দেখে মন খারাপ হয়ে গিয়েছে তাঁর।
