পাতিয়ালা: মেয়েরা যদি খেলার জগতে পা দিতে চান, তাঁদের পাশে থাকুন। আর্জি মীরাবাঈ চানুর (Mirabai Chanu)। টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) ভারোত্তোলনে (Weightlifting) রুপো পেয়েছেন মণিপুরের মেয়ে। কঠিন রাস্তা পেরিয়ে এসে তাঁর পাওয়া সাফল্যে অনুপ্রাণিত অনেকেই। বিশেষ করে ভারতীয় মেয়েরা। তাঁদের মধ্যে থেকেই কেউ হয়তো চানুর মতো অলিম্পিকের আসরে গর্বিত করবেন দেশকে।
চানু তাই বলছেন, ‘আমি যখন খেলা শুরু করি, তখন বয়স ছিল মাত্র ১৪। অনেক রকম সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। শুরুর দিকে কোনও রকম সুযোগ সুবিধাই ছিল না। এই সমস্যার দিনগুলো চাপে রেখেছিল আমার পরিবারকেও। সে সব জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েই সাফল্য পেয়েছি। তার কারণই হল, আমার পরিবার সব সময় পাশে থেকেছে। ওঁরা শুধু আমার স্বপ্নকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।’
ইম্ফল থেকে ২৫ কিমি দূরে বাড়ি চানুর। ইম্ফলের অ্যাকাডেমিতে পৌঁছনোর জন্য অধিকাংশ দিনই হেঁটে যেতে হত তাঁকে। তার পরও তিনি ফোকাসড রেখেছিলেন নিজেকে। শুধু তাই নয়, তাঁর পরিবারও সব সময় পাশে থেকেছে। সামান্য চাষীর পরিবারের ওই লড়াইটাই কুর্নিশ জানানোর মতো।
Back in action! #missionparis2024 pic.twitter.com/0D5ZVMMN0k
— Saikhom Mirabai Chanu (@mirabai_chanu) August 25, 2021
যা নিয়ে চানু বলেছেন, ‘আমার বাবা-মার স্বপ্নকে সফল করতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি। শুধু তাই নয়, সরকারের তরফেও প্রচুর সহযোগিতা পেয়েছি। আর তাই, আমি সবার কাছে আর্জি রাখব, যে সব মেয়েরা আমার মতো খেলাকেই তাদের জীবন হিসেবে বেছে নিতে চান, তাদের পাশে দাঁড়ান। যাতে আমার মতো তাদেরও স্বপ্নপূরণ হয়।’
রিও অলিম্পিক থেকে টোকিও ধরলে, ভারতের মেয়েরাই বেশি পদক পেয়েছেন। তবু কোথাও না কোথাও আজও মেয়েদের পিছনের সারিতেই রাখা হয়। পরিবারের তরফেও সাহায্য পান না তাঁরা। চানুর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমি খুব ভাগ্যবান যে আমার পরিবার খেলাধুলো ভালোবাসত। পরিবারের পাশে থাকাটা যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন সরকারও আমাদের পাশে থাকছে। সাহায্য করছে। আশা করি এ ভাবেই থাকবে।’
টোকিও অলিম্পিকে ভারত ইতিহাস করেছে। এই প্রথম অলিম্পিক থেকে সোনা সহ সাতটা পদক এসেছে। তার কারণও ব্যাখ্যা করছেন চানু। তাঁর কথায়, ‘ভারতের ছেলে-মেয়েরা প্রচুর পরিশ্রম করছে। সেই কারণেই সাফল্য আসছে। নতুন প্রজন্মও যদি এই রকম পরিশ্রম করে, সাহায্য পায়, তা হলে তারাও কিন্তু দেশকে গর্বিত করবে।’