টোকিও: করোনার (COVID-19) কারণে টোকিও অলিম্পিক (Tokyo Olympics) হতে চলেছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। এমন সিদ্ধান্তই নিতে বাধ্য হল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (IOC) ও আয়োজক সংস্থা। জাপানে দিন দিন যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সেদেশে ইতিমধ্যেই ২২ অগস্ট অবধি জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তাই আশঙ্কা ছিল দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই হতে পারে টোকিও অলিম্পিক। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। আজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার কথা ছিল। সেই আলোচনা পর্বের শেষেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সীমিত সংখ্যক স্থানীয় দর্শক প্রবেশ করলেও করোনা সংক্রমণের একটা ভয় ছিলই। আর কোনও ঝুঁকি নেওয়ার জায়গা রাখল না আয়োজকরা। ফের জরুরিকালীন অবস্থার মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই টোকিও অলিম্পিকের আয়োজকরাও জানিয়ে দিল, দর্শকহীন হতে চলেছে এবারের অলিম্পিক। অলিম্পিক বাতিলের দাবি তোলার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা এর আগেই দর্শকহীন অলিম্পিক আয়োজনের কথা বলেছিল। আয়োজকরা এতদিন জাপানের করোনা পরিস্থিতি কেমন তা বোঝার অপেক্ষায় ছিলেন। ফের জরুরিকালীন অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ফলে আয়োজকদের কাছে এই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেল যে, জাপানে করোনা সংক্রমণের হার এখনও আয়ত্তের মধ্যে নেই। এই পরিস্থিতিতে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির বাইরেই যখন বেরোতে পারবেন না, তখন গেমস দেখতে উপস্থিত থাকার প্রশ্নও উঠছে না।
টোকিও অলিম্পিকের আয়োজক, জাপান সরকার, অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর টোকিও অলিম্পিকের প্রেসিডেন্ট সেইকো হাসিমোতো বলেন, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য আমরা সীমিত আকারে গেমস উপস্থাপন করছি। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা যারা গেমসের জন্য টিকিট কিনেছিলেন তাদের প্রত্যেকের জন্য আমি দুঃখিত।”
করোনা মহামারির কারণেই ২০২০ সালের বদলে এক বছর পিছিয়ে শুরু হতে চলেছে টোকিও অলিম্পিক (Tokyo Olympics)। তবে করোনার কারণে এবার ফাঁকা গ্যালারির সামনেই পদকে লড়াই চালাবেন অ্যাথলিটরা। গেমসে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলিটদের জন্যও রয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা। করোনা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে অলিম্পিক আয়োজকদের। মারণ ভাইরাসের চোখ রাঙানিকে সমীহ করে এবার কীভাবে নিরাপদে পুরো অলিম্পিক সম্পন্ন হয়, তা দেখার অপেক্ষায় থাকবে গোটা বিশ্ব।
আরও পড়ুন: Tokyo Olympics 2020: গেমসের দু’সপ্তাহ আগে জাপানে জরুরি অবস্থা জারি