দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট। টেবিল টেনিসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক পদক জিতেছেন। আক্ষেপ রয়েছে অলিম্পিক পদকের। কেরিয়ারে কী না জিতেছেন! কমনওয়েলথ গেমসে দুটো সোনার পদক, একটি করে রুপো ও ব্রোঞ্জ। এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ। এশিয়ান কাপে ব্রোঞ্জ। সাউথ এশিয়ান গেমসে তিনটে সোনা একটি রুপো। কিন্তু অলিম্পিক পদক ছাড়া কেরিয়ার যেন অপূর্ণ। প্রথম বার অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন, তা নয়। এ বার লক্ষ্য এবং আত্মবিশ্বাস অন্য স্তরের। আর এক্ষেত্রে ভারতের টিটি তারকা মনিকা বাত্রার ভরসা ২৮০ পাতার বই ও বিরাট কোহলি!
কেরিয়ারের বয়স প্রায় ১৫ বছর। নানা সাফল্যের মাঝে, বিতর্কেও জড়িয়েছে মনিকা বাত্রার নাম। কপি পেস্ট টুইট হোক বা কোচকে নিয়ে বিতর্ক। সব ভুলে এখন প্যারিস অলিম্পিকেই নজর মনিকার। এই অধরা মাধুরীর জন্য সবটাই দিতে তৈরি। এ ক্ষেত্রে তাঁর বড় ভরসা ২৮০ পাতার বই! তাঁর কাছে সবসময় একটি মোটা বই থাকে। প্রতি ম্যাচের আগেই সেটা একটু-আধটু পড়েন। মনিকার বিশ্বাস, এই বই তাঁর লাকি চার্ম। তাঁকে বাড়তি ভরসা দেয়।
গত এক দশক বিরাট কোহলির বড় ফ্যান হয়ে উঠেছেন মনিকা বাত্রা। এক তো দিল্লি সংযোগ। কিন্তু বিরাট কোহলির ভক্ত কী ভাবে হলেন? মনিকার কথায়, ‘ওর কেরিয়ারেও প্রচুর চাপ ছিল। ও যেভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করে তা শেখার মতো। শুধু তাই নয়, জেতার জন্য ওর তাগিদ, আবেগ, ও যে ভাবে ক্রিকেটাকে উপভোগ করে, সত্যিই দুর্দান্ত।’
বিরাটের সঙ্গে যেন আরও একটা মিল পাওয়া যায়। খেলার মাঝেও মাঠে ডান্স করতে দেখা যায় বিরাটকে। গ্যালারিতে গান বাজছে, বিরাট নাচছেন, এই দৃশ্য নতুন নয়। মনিকাও অনেকটা তেমনই। সমস্ত চাপের সঙ্গে সুরক্ষিত দূরত্ব বজায় রাখতে থেকে নিজেকে এ ভাবেই জড়িয়ে রাখতে পারেন।