
টোকিও: যতই চাপ থাকুক, যতই করোনা আশঙ্কা বাড়ুক, অলিম্পিক (Olympics) একেবারে দর্শকশূন্য হচ্ছে না। তবে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেকটাই। বিদেশি দর্শকে আগেই ‘না’ বলে দিয়েছিল আয়োজকরা। এ বার প্রতি ইভেন্টে ১০ হাজার স্থানীয় দর্শক প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
টোকিও গেমসের (Tokyo Games) আয়োজকদের তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, প্রতি ভেনুতে যা দর্শক ধরে, তার অর্ধেক করে দেওয়া হচ্ছে। সর্বোচ্চ ১০ হাজার দর্শক অলিম্পিক দেখার সুযোগ পাবেন। টোকিও গভর্নর ইউরিকো কোইকে বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি যদি আচমকা বদলে যায়, কোনও নাটকীয় পরিবর্তন আসে, তা হলে আমাদের আবার পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে হবে। সে ক্ষেত্রে হয়তো দর্শকহীন করে দিতে অলিম্পিক। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে. ১০ হাজার দর্শক ঢুকতে পারবেন গেমস দেখার জন্য।’
জাপান সরকার, আয়োজক সংস্থা, টোকিও প্রসাশন, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ও প্যারালিম্পিক কমিটির সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইওসির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ বলেছেন, ‘জাপানের জনতা ও প্রতিযোগীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে এটাই সেরা পথ ছিল।’
অলিম্পিকের জন্য ইতিমধ্যে টিকিট বিক্রি করে ফেলেছে টোকিও গেমসের আয়োজকরা। কিন্তু দর্শক সংখ্যা হঠাত্ কমে যাওয়ায় কী হবে? এই প্রশ্নের মুখে পড়ে আয়োজকদের তরফে বলা হচ্ছে, যে টিকিট বিক্রি হয়েছে, তার মধ্যে থেকে লটারি করা হবে। ভাগ্যবান দর্শকরাই অলিম্পিকে ঢোকার সুযোগ পাবেন। তাতেও কিন্তু বাড়তে পারে ঝামেলা।
অলিম্পিকে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীদের যাতে সুরক্ষিত রাখা যায়, তাই এখন ফোকাস আয়োজকদের। গেমস ভিলেজ এবং স্টেডিয়ামগুলোয় কড়া কোভিডবিধি মানতে হবে অ্যাথলিটদের। সামাজিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে কোনও রকম আপোষ চাইছে না তারা। ২৩ জুলাই শুরু অলিম্পিক। যা নির্বিঘ্নে শেষ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে জাপান।
আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: কেমন দেখতে অলিম্পিকের গেমস ভিলেজ?