Pulsar 150 নাকি Apache 160, কী নেবেন বুঝতে পারছেন না? রইল সমাধান

Bajaj Pulsar 150 Price: ভারতীয় বাজারে Bajaj Pulsar 150 এবং TVS Apache 160 প্রিমিয়াম কমিউটার বাইক সেগমেন্টে বেশ জনপ্রিয়। বাজারে, এই দু'টি একে অপরকে অনায়াসে টেক্কা দিতে পারে।

Pulsar 150 নাকি Apache 160, কী নেবেন বুঝতে পারছেন না? রইল সমাধান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 28, 2023 | 1:18 PM

Best Premium Commuter Bike: একটি নতুন বাইক কেনার প্ল্য়ান করেছেন? কিন্তু কিছুতেই বুঝে উঠতে পরাছেন না যে, কোন বাইক কিনবেন। আবার বেশি খরচও করতে চাইছেন না। তবে আপনাকে দু’টি বাইকের খোঁজ দেওয়া হবে। ভারতীয় বাজারে Bajaj Pulsar 150 এবং TVS Apache 160 প্রিমিয়াম কমিউটার বাইক সেগমেন্টে বেশ জনপ্রিয়। বাজারে, এই দু’টি একে অপরকে অনায়াসে টেক্কা দিতে পারে। তাই যারা 150-160cc বাইক কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য় এই বাইক দু’টি সেরা। তাই কেনার আগে বাইক দু’টির তুলনা দেখে নিন। তারপরে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, কোনটি আপনার জন্য় সেরা।

বাইক দু’টির ইঞ্জিনের পার্থক্য়:

Bajaj-এর Pulsar 150 একটি 149.50cc ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। যা 14 PS শক্তি এবং 13.25 Nm টর্ক জেনারেট করে। Apache 160 একটি 159.7cc ইঞ্জিন পায়, যা 15.53 PS শক্তি এবং 13.9 Nm টর্ক জেনারেট করে। পালসারের তুলনায় অ্যাপাচির ইঞ্জিন বেশি ক্ষমতার, যার কারণে এটি আরও শক্তি পায়।

Bajaj Pulsar 150 বনাম TVS Apache 160: লুক ও ডিজাইন

পালসার 150 এর দৈর্ঘ্য 2055 মিমি, প্রস্থ 765 মিমি, উচ্চতা 1060 মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স 165 মিমি। যেখানে, Apache 160 এর দৈর্ঘ্য 2085 মিমি, প্রস্থ 730 মিমি, উচ্চতা 1105 মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স 180 মিমি। Apache 160 তুলনামুলকভাবে Pulsar 150-এর চেয়ে বড়।

জ্বালানী ট্যাঙ্ক এবং ওজনের তুলনা:

বাজাজ পালসারের (Bajaj Pulsar) জ্বালানী ট্যাঙ্কের ক্ষমতা 15-লিটার, আর অ্যাপাচির (Apache) জ্বালানী ট্যাঙ্কের ক্ষমতা 12-লিটার। পালসারের কার্ব ওজন 148 কেজি, আর Apache-এর ড্রাম ভ্যারিয়েন্টটি 139 কেজি এবং ডিস্ক ভ্য়ারিয়েন্টটি 140 কেজি।

চাকা, টায়ার এবং ব্রেকের পার্থক্য়:

Bajaj এবং TVS-এর এই দু’টি বাইকের চাকাই 17-ইঞ্চি এবং সেগুলিতে টিউবলেস টায়ার রয়েছে। ব্রেকিং সম্পর্কে কথা বললে, Pulsar 150 সামনে 260 মিমি ডিস্ক এবং পিছনে 130 মিমি ড্রাম ব্রেক পায়। Apache 160 এর সামনে একটি 270mm ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। একই সময়ে, পিছনের ড্রাম ভ্যারিয়েন্টে 130mm ড্রাম ব্রেক এবং ডিস্ক ভ্যারিয়েন্টে 200mm ডিস্ক ব্রেক পাওয়া যাচ্ছে। দু’টি বাইকেই ABS (অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম) দেওয়া হয়েছে।

রঙয়ের ভ্যারিয়েন্ট:

Apache 160-এর পার্ল হোয়াইট, ম্যাট ব্লু, গ্লস রেড, গ্লস ব্ল্যাক, টি গ্রে এবং ম্যাট রেড সহ 6টি রঙয়ের ভ্য়ারিয়েন্টে রয়েছে। যেখানে, পালসার 150 শুধুমাত্র দু’টি রঙয়ে রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কালো-ধূসর এবং কালো-লাল। আপনি যদি একটি সুন্দর রঙয়ের বাইক কিনতে চান, তাহলে আপনি Apache 160 কিনতে পারেন।

কার দাম বেশি?

Bajaj Pulsar 150০-এর দাম 96,960 টাকা (এক্স-শোরুম)। Apache 160-এর ড্রাম ব্রেক ভ্য়ারিয়েন্টের দাম 97 হাজার টাকা এবং ডিস্ক ভ্যারিয়েন্টের দাম 1 লাখ টাকা এক্স-শোরুম)। ড্রাম ব্রেক ভ্যারিয়েন্টের উপর নির্ভর করে উভয় বাইকের দাম প্রায় সমান।