2021 Maruti Suzuki Celerio: ভারতে আসছে মারুতি সুজুকির ‘নিউ জেনারেশন Celerio’, কী কী ফিচার থাকবে এই গাড়িতে?
এখনও পর্যন্ত মারুতি সুজুকির নিউ জেনারেশন Celerio মডেল সম্পর্কে যা যা জানা গিয়েছে, তা আরও একবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
ভারতে লঞ্চ হতে চলেছে মারুতি সুজুকির নতুন Celerio মডেল। জানা গিয়েছে, ২০২১ Celerio লঞ্চ হবে আগামী ১০ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই এই গাড়ির প্রি-বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। মাত্র ১১ হাজার টাকার বিনিময়ে মারুতি সুজুকি Celerio ২০২১ বুক করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে গাড়ির দাম কত হবে, সেই প্রসঙ্গে ইন্দো-জাপানি অটোমোবাইল সংস্থা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষণা করেনি। তবে এই গাড়ির বেশ কিছু সম্ভাব্য ফিচার এর মধ্যেই প্রকাশ্য এসেছে। এখনও পর্যন্ত মারুতি সুজুকির নিউ জেনারেশন Celerio মডেল সম্পর্কে যা যা জানা গিয়েছে, তা আরও একবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
আনুষ্ঠানিক লঞ্চ ডেট- আগামী ১০ নভেম্বর ভারতে লঞ্চ হবে মারুতি সুজুকি Celerio ২০২১ মডেল। বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতেই আগামী দিনে অর্থাৎ লঞ্চের পর এই গাড়ি ডাটসন গো, টাটা টিয়াগো এবং হুন্ডাই স্যান্ট্রো গাড়ির সঙ্গে জমিয়ে টক্কর দেবে।
প্রি বুকিং- এই গাড়ির প্রি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। ১১ হাজার টাকার বিনিময়ে মারুতি সুজুকির অফিশিয়স্ল ওয়েবসাইটে গিয়ে Celerio ২০২১ মডেলের জন্য প্রি বুকিং করা যাবে। অন্যদিকে, মারুতি সুজুকির অথরাইজড শোরুমে গিয়েও নতুন সিলেরিও মডেলের বুকিং করা সম্ভব।
ইঞ্জিনের খুঁটিনাটি- মারুতি সুজুকি Celerio ২০২১ গাড়িতে থাকতে চলেছে ১ লিটারের K10C Dual jet VVT পেট্রোল ইঞ্জিন। এর মধ্যে অটোম্যাটিক এবং ম্যানুয়াল, দু’ধরনেরই ট্রান্সমিশনের অপশন রয়েছে। এই গাড়ি নির্মাণকারী অটোমোবাইল সংস্থার দাবি, মারুতি সুজুকি Celerio ২০২১ মডেল দেশের সর্বোচ্চ মাইলেজ দেওয়া পেট্রোল কার (গাড়ি) হতে চলেছে। প্রায় ২৬ kmpl মাইলেজ দেবে নিউ জেনারেশন মারুতি সুজুকি Celerio মডেল। লঞ্চের পর ভারতের গাড়ির বাজারে ব্যবসায়িক দিক থেকে এই গাড়ি ভাল সাড়া জাগাবে বলে আশাবাদী নির্মাণ সংস্থা। গ্রাহকদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবশেষে অবসান হতে চলেছে। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই ভারতের গাড়ির বাজার কাঁপাতে লঞ্চ হবে মারুতি সুজুকি Celerio ২০২১।
অন্যান্য আকর্ষণীয় নজরকাড়া ফিচার- মারুতি সুজুকি Celerio ২০২১ মোট চারটি ট্রিম এবং সাতটি ভ্যারিয়েন্টে ভারতে লঞ্চ হতে চলেছে। এই নিউ জেনারেশনের ঝাঁচকচকে মডেলের ভিতর কেবিনে থাকবে টানস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম। এই ডিভাইসের স্ক্রিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকবে অ্যাপেল কারপ্লে এবং অ্যানড্রয়েড অটো, এই দুই ফিচারের। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, নতুন মডেল আগের তুলনায় আকার-আয়তনে বড়। অর্থাৎ আগের মডেলের তুলনায় নতুন গাড়িতে জায়গা বেশি। দেখার দিক থেকে অর্থাৎ ডিজাইনেও এসেছে কিছু পরিবর্তন। একটি push start/stop বাটন এবং idle start/stop ফাংশন যুক্ত হয়েছে এই গাড়ি। এছাড়াও রয়েছে একটি সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং একটি মাল্টি-স্পোক স্টিয়ারিং হুইল। সেই সঙ্গে রয়েছে আগের তুলনায় উন্নত হেডল্যাম্প, বাম্পার, টেল ল্যাম্প বা গাড়ির পিছনের অংশ।