AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বুকের এক্স-রে দেখে হবে করোনার চিকিৎসা, নতুন ‘এআই অ্যালগোরিদম’ তৈরি করেছে ডিআরডিও

আপনার শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কি না, বুকের এক্স-রে দেখেই সেটা বলতে পারবেন চিকিৎসকরা।

বুকের এক্স-রে দেখে হবে করোনার চিকিৎসা, নতুন 'এআই অ্যালগোরিদম' তৈরি করেছে ডিআরডিও
ছবি প্রতীকী
| Updated on: May 08, 2021 | 2:54 PM
Share

চেস্ট এক্স-রে অর্থাৎ বুকের এক্স-রে দেখেই এবার বোঝা যাবে ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কি না। সম্প্রতি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এবং সেন্টার ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রোবোটিক্স (সিএআইআর)- এই দুই প্রতিষ্ঠান যৌথ ভাবে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে চলেছে। ডিআরডিও এবং সিএআইআর একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) অ্যালগোরিদম তৈরি করেছে। এই অ্যালগোরিদমের সাহায্যে চেস্ট এক্স-রে দেখে বোঝা যাবে ওই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে নাকি নেই।

দুই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই টুলের নাম Atman AI। বুকের এক্স-রে স্ক্রিনিং করে এই এআই বলে দেবে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। কিন্তু কতটা ভরসাযোগ্য হবে এই তথ্য? জানা গিয়েছে, এই অ্যালগোরিদমের দ্বারা প্রাপ্ত তথ্যের অ্যাকিউরেসি রেট ৯৬.৭৩ শতাংশ। অন্যদিকে ডিআরডিও এবং সিরআইআর- এর ডিরেক্টর ডক্টর ইউ কে সিং জানিয়েছেন, মূলত রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা এবং চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যের জন্যই এই টুল আবিষ্কার করা হয়েছে। কারণ দেশজুড়ে যেভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেখানে দ্রুত চিকিৎসা হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়।

চেস্ট এক্স-রে দেখে অটোম্যাটিক ভাবেই রেডিওলজির সাহায্যে কয়েক সেকেন্ডের  মধ্যে ‘ইন্ডিকেটিভ কোভিড ১৯’ অর্থাৎ করোনা হয়েছে কি না সেটা বোঝা যাবে। যে টিম এই কর্মকাণ্ডের পিছনে রয়েছে, তারা জানিয়েছে কম সময়ে এবং কম খরচে এই প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্ভব। বিশেষ করে ছোট শহর, যেখানে হয়তো সিটি স্ক্যানের পরিষেবা তেমন ভাল নয়, তবে এক্স-রে করার চল রয়েছে, সেখানে সহজেই এই পরীক্ষা করা সম্ভব। প্রসঙ্গত, অন্যান্য অনেক রোগের ক্ষেত্রেই সিটি স্ক্যানের প্রয়োজনীয়তা থাকে। এবার কোভিডের জন্যও যদি সিটি স্ক্যানের মেশিনের উপর চাপ পড়ে, তাহলে সেটা সমস্যার। সেক্ষেত্রে এই উদ্যোগ যথেষ্ট কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন টুলের ডেভেলপাররা জানিয়েছেন, একাধিক পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে RT-PCR পজিটিভ রোগীদের ডিজিটাল চেস্ট এক্স-রে এর রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হবে। এই কাজের জন্য ব্যবহার করা হবে এআই মডেল এবং অ্যালগোরিদম। ইতিমধ্যেই ৫সি নেটিওয়ার্ক (রেডিওলজিস্টদের ডিজিটাল নেটওয়ার্ক) সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিআরডিও-সিএআইআর নির্মিত নতুন টুল দেশের এক হাজার হাসপাতালে ব্যবহার করা হবে। রেডিওলজিস্টদের মতে, এই অ্যালগোরিদমের সাহায্যে চেস্ট এক্স-রে পর্যবেক্ষণ করে করোনা হয়েছে কি না তা দেখে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার কাজ নিঃসন্দেহে এই পর্যায়ে দেশের জন্য জরুরি। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ এই নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের ফলে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পাবেন।

আরও পড়ুন- Oxygen Concentrator: করোনা আবহে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাবে এই যন্ত্র! কেনার আগে কী কী মাথায় রাখবেন

৫সি নেটওয়ার্কের সিইও কল্যাণ শিবশৈলম জানিয়েছেন, এইচসিজি অ্যাকাডেমিক্সের সহায়তায় এই কাজ শুরু করা হবে। এর ফলে কম খরচে বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের চিকিৎসা সম্ভব হবে।