PUBG Mobile Ban: কোন কোন দেশে কী কী কারণে PUBG Mobile গেমকে ব্যান করা হয়েছিল জেনে নিন

সর্বশেষ PUBG মোবাইলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ। এমনকি চিন অনলাইন গেমগুলির বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করেছে এবং সংস্থাগুলিকে নতুন নিয়ম জারি করতে বাধ্য করেছে।

PUBG Mobile Ban: কোন কোন দেশে কী কী কারণে PUBG Mobile গেমকে ব্যান করা হয়েছিল জেনে নিন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2021 | 7:59 PM

PUBG মোবাইল ব্যান। গেমারদের কাছে এটা একটা চরম দুঃসংবাদে পরিণত হয়েছিল। PlayerUnknown এর Battlegrounds গেমিং জগতে প্রথম রিয়েল টাইম অ্যাকশন গেম ছিল না, কিন্তু এই গেম এতটাই বেশি উত্তেজনাপূর্ণ ছিল যা খেলোয়াড়দের মারাত্মক প্রতিযোগীমূলক করে তোলে। বলার অপেক্ষা রাখে না, PUBG মোবাইল ২০১৭ সালে চালু হওয়ার পর থেকে দ্রুত এই ধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ গেম হয়ে উঠেছে। করোনাভাইরাস মহামারীর সময়  যখন সবাই বাড়িতে আটকে ছিল তখন PUBG মোবাইল এবং PUBG মোবাইল লাইটের ডাউনলোড আকাশ ছুঁয়েছে। যদিও, এই জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রকদের এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আর তা এতটাই বেশি ছিল যে PUBG মোবাইল এবং PUBG মোবাইল লাইটকে বেশ কয়েকটি দেশ নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি অন্যান্যরা নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে…এখনও। PUBG মোবাইল নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে এই গেমের মালিকানা থেকে আসক্তিযুক্ত গেমপ্লে সবকিছুকেই দায়ী করা হয়েছিল। সর্বশেষ PUBG মোবাইলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ। এমনকি চিন অনলাইন গেমগুলির বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করেছে এবং সংস্থাগুলিকে নতুন নিয়ম জারি করতে বাধ্য করেছে। এই নিয়মে বাচ্চারা এই গেমগুলি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা ধরেই খেলতে পারবে। তবুও, PUBG মোবাইল স্মার্টফোনে সবচেয়ে জনপ্রিয় গেমগুলির মধ্যে একটা হ্যেই থেকে গেছে।

এখানে PUBG মোবাইল নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন দেশগুলির একটি তালিকা দেওয়া হল। সঙ্গে সেই কারণগুলিও দেওয়া হয়েছিল যেগুলি দেখিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ভারত এবং চিনের মতো কিছু দেশে, সরকারি নিয়মাবলী মেনে এই গেমের অনুরূপ ভার্সেন ফের চালু হয়।

বাংলাদেশ:

তালিকার সর্বশেষ সংযোজন। ১ অগাস্ট বাংলাদেশের একটি হাইকোর্ট জনপ্রিয় গেম PUBG মোবাইল নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশি সংবাদপত্র দ্য ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী তিন মাসের জন্য টিকটোক, লাইক, বিগো লাইভ, পাবজি এবং ফ্রি ফায়ারের মতো “ধ্বংসাত্মক” অনলাইন গেম এবং অ্যাপগুলি ইউজাররা ব্যবহার করতে পারবেন না। আদালত ১০ দিনের মধ্যে কেন এই অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করা উচিত নয় তা ব্যাখ্যা করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানা গেছে।

ভারত:

ভারত সরকার গত বছর জাতীয় নিরাপত্তার কারণে চিনের সঙ্গে যুক্ত ১০০ টিরও বেশি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল। এর মধ্যে ছিল PUBG মোবাইল ইন্ডিয়া এবং PUBG মোবাইল লাইট। চিনের টেনসেন্ট এই গেমের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ছিল। নিষিদ্ধ অ্যাপগুলির মধ্যে PUBG মোবাইল, TikTok এবং অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ রয়েছে যা ভারতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হত। যদিও এই অ্যাপগুলির বেশিরভাগই ভারতে নিষিদ্ধ রয়ে গেছে, তবে PUBG মোবাইলের ভারতীয় অবতার ব্যাটলগ্রাউন্ডস মোবাইল ইন্ডিয়া সম্প্রতি জুলাই মাসে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য চালু করা হয়েছে। এর আইওএস সংস্করণটি দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি ক্রাফটন ১৮ অগাস্টে এনেছিল।

নেপাল:

PUBG মোবাইল গেম নিষিদ্ধ করা আরেকটি দেশ হল নেপাল। নেপাল সরকার নেপাল টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (NTA) কে ISP এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক পর্যায়ে গেমটি ব্লক করার তদারকি করতে বলেছিল। যদিও, নিষেধাজ্ঞাটি স্বল্পস্থায়ী ছিল এবং শীঘ্রই নেপালের সুপ্রিম কোর্ট এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আদেশ দেয়।

জর্ডান:

২০১৯ সালে, জর্ডানের নাগরিকদের উপর “নেতিবাচক প্রভাব” উল্লেখ করে PUBG মোবাইল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার সময় সংবাদ প্রতিবেদনগুলি অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিল যে “এটি (PUBG) ইউজারদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল, যার ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।” দেশের মনোবিজ্ঞানীরাও সতর্ক করেছিলেন যে খেলাটি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

চীন:

যদিও চিনের গেমিং জায়েন্ট টেনসেন্ট মোবাইলের PUBG মোবাইলে একটি বড়সড় অংশীদারিত্ব রয়েছে, তবে গেমপ্লের বেশিরভাগ অংশ হিংসার প্রচার করায় এখানে এই গেমকে ব্যান করা হয়। যদিও, পরবর্তীকালে গেমটির একটি নতুন সংস্করণ চালু করা হয় আছে যা সরকারী বিধি -বিধান মেনে প্রকাশিত হয়েছিল। গেমটির নাম দেওয়া হয় গেম ফর পিস। এর মানে হল যে চীনের ইউজাররা PUBG মোবাইল “গ্লোবাল” ভার্সেন ডাউনলোড করতে পারেন না। যার ফলে এই দেশের গেমাররা বাকি গেমারদের সাথে লবিতে জায়গা পান না।

আরও পড়ুন: আইওএস ভার্সানে কীভাবে ডাউনলোড করবেন এই গেম? ফোনেই বা কী কী ফিচার থাকতে হবে