Metaverse Wedding Reception: মেটাভার্সে দেশের প্রথম বিয়ে, হ্যারি পটার থিমে ‘ভার্চুয়াল বউভাত’!

India's First Metaverse Marriage: তামিলনাড়ুর এই যুগল বিয়েটা যেমন করার তেমনই করবেন। তবে রিসেপশনের অনুষ্ঠানটি করবেন ভার্চুয়ালি, মেটাভার্সে। অর্থাৎ এক কাল্পনিক দুনিয়ায় নিয়ে যাবেন নিমন্ত্রিতদের। হ্যাঁ, অতিমারি পর্বে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটিকেই বেছে নিয়েছেন তামিলনাড়ুর এই যুগল।

Metaverse Wedding Reception: মেটাভার্সে দেশের প্রথম বিয়ে, হ্যারি পটার থিমে 'ভার্চুয়াল বউভাত'!
বাঁ দিকে দীনেশ ও জনগনন্দিনী, ডান দিকে তাঁদের ভার্চুয়াল অবতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2022 | 6:20 AM

ভরা বিয়ের মরশুম। আর এমনই এক সময়ে পাত্র-পাত্রীপক্ষদের গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ! লোকজন আমন্ত্রিত, কিন্তু সেখান থেকেও কাটছাঁট করতে হচ্ছে। কারণ কোভিডের বিধিনিষেধ রয়েছে। বেশি লোকজন নিয়ে আনন্দোৎসব এখন করাই যাবে না। আর এমনই সুযোগে মোক্ষম ছক কষলেন তামিলনাড়ুর এক যুগল (Tamil Nadu Couple)। ভার্চুয়ালি বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেছেন তাঁরা। সে আর নতুন কী? ভার্চুয়াল বিয়ে তো আগেও হয়েছে। ল্যাপটপের এপারে বর, ওপারে কনে – এমন ভিডিয়ো আমরা আগেও দেখেছি। তামিলনাড়ুর এই যুগল বিয়েটা যেমন করার তেমনই করবেন। তবে রিসেপশনের অনুষ্ঠানটি করবেন ভার্চুয়ালি, মেটাভার্সে (Virtual Wedding Reception)। অর্থাৎ এক কাল্পনিক দুনিয়ায় নিয়ে যাবেন নিমন্ত্রিতদের। হ্যাঁ, অতিমারি পর্বে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটিকেই বেছে নিয়েছেন তামিলনাড়ুর এই যুগল। জেনে রাখা ভাল যে, এটিই দেশের প্রথম বিয়ে, যার বউভাত হচ্ছে মেটাভার্সে (India’s First Metaverse Marriage)

পাত্রের নাম দীনেশ এসপি এবং পাত্রী জনগনন্দিনী রামস্বামী। বাড়ি তামিলনাড়ুর শিবলিঙ্গপুরম গ্রামে। ইনস্টাগ্রামে তাঁদের পরিচয়। ৬ ফেব্রুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন যুগলে। এই দীনেশ আবার আইআইটি মাদ্রাসে কাজ করেন। ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ব্লকচেন প্রযুক্তি নিয়েই মূলত কাজ করে থাকেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই, এই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির দুনিয়া, মেটাভার্স তাঁর গুলে খাওয়া। জানালেন, ভার্চুয়াল বউভাতের এই ভাবনাটি তাঁরই। আর তাতে সম্মতিও জানিয়েছেন তাঁর হবু বউ জনগনন্দিনী। তাঁদের বিয়েটা হবে শিবলিঙ্গপুরম গ্রাম থেকেই। আর রিসেপশনের অনুষ্ঠানটি হবে ভার্চুয়ালি।

মেটাভার্সে রিসেপশনের জন্য তাঁরা একটি থিমও বেছে নিয়েছেন। হ্যারি পটারের হগওয়ার্টস হল, তাঁদের রিসেপশনের থিম। দীনেশ এবং জনগনন্দিনী দুজনেই হ্যারি পটারের ভক্ত। তাই বিয়ের রিসেপশনেও এমনতর থিম বেছে নিয়েছেন তাঁরা। ঠিক কেমন হতে পারে সেই মেটাভার্সে রিসেপশন অনুষ্ঠান, তার একটি ভিডিয়ো ট্যুইট করেছেন দীনেশ। সেখানে তিনি লিখছেন, “আমি গর্বিত এবং আশীর্বাদধন্য মনে করি যে, লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখার আগেই আমি এই পৃথিবীতে অনেক বড় একটা সম্ভাবনা দেখে ফেলেছি এবং তার সদ্ব্যবহার করতে চলেছি, বড় কিছুর শুরু! টার্ডিভার্সের (মেটাভার্স স্টার্টআপ) সহযোগিতায় পলিগন ব্লকচেনে ভারতের প্রথম মেটাভার্স বিয়ে।”

মেটাভার্সে কী ভাবে এই রিসেপশনের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হবে? বিয়ের পর রিসেপশনে দীনেশ এবং জগনন্দিনী দুজনেই ল্যাপটপ খুলবেন। তার পর তাঁরা দুজনে একটি ভার্চুয়াল ভেন্যুতে প্রবেশ করবেন। থিম হগওয়ার্টস। এক এক করে দেশ বিদেশের আমন্ত্রিতরা প্রবেশ করবেন সেই হগওয়ার্টস থিমের মেটাভার্স দুনিয়ার ভার্চুয়াল ভেন্যুতে। শুধু তাই নয়। উপহারও ডিজিটালি দিতে পারবেন আমন্ত্রিতরা। বরের কথায়, “মেটাভার্সের মাধ্যমে আমরা বিয়ের উপহারও নেব। গুগল পে-র মাধ্যমে অতিথিরা গিফট ভাউচার ট্রান্সফার করতে পারবেন। আর ক্রিপ্টোকারেন্সিও দিতে পারবেন।” দীনেশ আরও জানিয়েছেন, যখন তাঁদের বিয়ের পাকা কথা হয়, তখনই তিনি ঠিক করে রেখেছিলেন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই বিয়ে করবেন। আর নিজে যখন ব্লকচেন নিয়ে কাজ করেন, তখন মেটাভার্সের থেকে ভাল মাধ্যম আর কী-ই বা হতে পারে! প্রসঙ্গত, ব্লকচেন প্রযুক্তি হল মেটাভার্সের প্রাথমিক অঙ্গ।

মেটাভার্স কী?

মেটাভার্স হল একটি কাল্পনিক জগৎ, যেখানে আপনি সব কিছু করতে পারবেন। ভার্চুয়াল সেই জগৎ বাস্তবের থেকে এক ফোঁটাও আলাদা বলে মনে হবে না আপনার। ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ সেই দুনিয়ায় আপনার অবাধ বিচরণ থাকবে। অনলাইন শপিং করতে চাইলে, বাড়ি বসেই পোশাকের ভার্চুয়াল ভার্সনটা ট্রায়াল দিতে পারবেন। আবার অফিসে না গিয়ে একসঙ্গেই সহকর্মীদের সঙ্গে বসে কাজ করার অনুভূতি নিতে পারবেন। ধরুন, কাউকে ফোন করলেন, মনে হবে যেন তাঁর সামনে বসেই কথা বলছেন।

থ্রি-ডি অ্যানিমেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাস্তবের মতোই একটি থ্রি-ডি দুনিয়া তৈরি করা হবে মেটাভার্সে। যাঁরাই মেটাভার্স ব্যবহার করবেন, তাঁদের জন্য, তাঁদের মতোই একটি করে অবতার তৈরি করা হবে। আপনি হাঁটলে সেই ভার্চুয়াল অবতারটি হাঁটবে, আপনি যা আচরণ করবেন, আপনার ভার্চুয়াল চরিত্রটিও হুবহু তাই করে দেখাবে। পুরোটাই ভিআর বা ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির মাধ্যমে তৈরি করা হবে। যদিও অনেকের ধারণা, মেটাভার্স আসলে ভিআর-এর একটি বিশেষ সংস্করণ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, মেটাভার্স তার থেকেও কয়েক কদম এগিয়ে এবং এটিই ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ।

আরও পড়ুন: ৭ বছরের অসুস্থ বাচ্চার হয়ে স্কুলে ক্লাস করছে অবতার রোবট

আরও পড়ুন: মানুষের DNA ব্যবহার করে বিশ্বের সবথেকে ছোট অ্যান্টেনা বানালেন বিজ্ঞানীরা, চুলের থেকেও ২০,০০০ গুণ ছোট!

আরও পড়ুন: শব্দ কল্প গেম! ওয়ার্ডল্ ভিডিয়ো গেম নিয়ে চতুর্দিকে এত চর্চা কেন? আপনিই বা কী ভাবে খেলবেন?