MG Windsor Pro Ride Review: লঞ্চ হয়ে গিয়েছে MG Windsor Pro! কেমন সেই গাড়ি? রইল এক্সক্লুসিভ রাইড রিভিউ
MG Windsor Pro Review: একবার চার্জ দিলেই ছুটবে ৪৪৯ কিলোমিটার। বাস্তবে কি সত্যি এক চার্জে এতটাই যায় এই গাড়ি? আর কী কী রয়েছে গাড়িতে? রইল এই প্রতিবেদনে।

এমজি মোটর উইন্ডসর লঞ্চ হওয়ার পর থেকেই টাটা পাঞ্চ এবং টাটা নেক্সনকে কঠিন সমস্যা পড়তে হচ্ছে। প্রতিযোগিতার বাজারে চলছে জোর টক্কর। এবার গ্রাহকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে আরও নতুন নতুন ফিচার এবং উন্নত প্রযুক্তি সহ বাজারে চলে এল নতুন MG Windsor Pro।
একবার চার্জ দিলেই ছুটবে ৪৪৯ কিলোমিটার। বাস্তবে কি সত্যি এক চার্জে এতটাই যায় এই গাড়ি? আর কী কী রয়েছে গাড়িতে? রইল এই প্রতিবেদনে।
এমজি মোটর উইন্ডসর লঞ্চ হওয়ার পর থেকেই টাটা পাঞ্চ এবং টাটা নেক্সনকে কঠিন সমস্যা পড়তে হচ্ছে। প্রতিযোগিতার বাজারে চলছে জোর টক্কর। এবার গ্রাহকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে আরও নতুন নতুন ফিচার এবং উন্নত প্রযুক্তি সহ বাজারে চলে এল নতুন MG Windsor Pro।
একবার চার্জ দিলেই ছুটবে ৪৪৯ কিলোমিটার। বাস্তবে কি সত্যি এক চার্জে এতটাই যায় এই গাড়ি? আর কী কী রয়েছে গাড়িতে? রইল এই প্রতিবেদনে।
সব কিছু খতিয়ে দেখতেই TV9 টিম MG Windsor Pro-নিয়ে যাত্রা করে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এর উদ্দেশ্যে। উমিয়াম হ্রদ, থেকে শুরু করে আরও অনেক জায়গায় চলেছে এই গাড়ি নিয়ে ভ্রমণ। কেমন সেই অভিজ্ঞতা?
নতুন এমজি উইন্ডসর প্রো-তে কোম্পানি সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তনটি করেছে তা হল ব্যাটারি প্যাক। রয়েছে ৫২.৯ kWh ব্যাটারি প্যাক। স্টাইলে খুব বেশি পরিবর্তন না থাকলেও রয়েছে হেক্টরের বিশেষ অ্যালয় হুইল। আছে একটি বৈদ্যুতিক টেইল গেটও। তবে ব্যাটারি প্যাক বৃদ্ধির কারণে গাড়ির বুট স্পেস একটু কমে গিয়েছে। এমজি উইন্ডসর ইভির তুলনায় প্রায় ২৫ লিটার কম।
ব্যাটারি সহ এই গাড়ির বেস প্রাইস ১৭.৪৯ লক্ষ টাকা। আবার ব্যাটারি অ্যাজ আ সার্ভিস হিসাবে নিলে দাম ১২.৪৯ লক্ষ টাকা। যদিও এই দাম ছিল কেবল প্রথম ৮০০০ টি বুকিংয়ের জন্য। যা প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। এখন এই গাড়ির দাম আরও ৬০,০০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এর বিশেষ নকশা পাহাড়ি এলাকার ছোট এবং সরু রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য উপযুক্ত। এক্সক্লুসিভ রিভিউ করার পরে এটা বলাই যায় যে টাটা কার্ভের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে এই গাড়ি। তবে, রাস্তা খারাপ হলে শক্ত সাসপেনশন কিছুটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। সাউন্ড রেজোলিউশন আরেকটু ভাল হতে পারত।

ব্যাটারি কেমন?
একবার সম্পূর্ণ চার্জে গাড়িতে প্রায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দেয়। এই সময়ের মধ্যেই গাড়ির ব্যাটারি প্রায় ৬২ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে, বাকি ৩৮ শতাংশ ব্যাটারি দিয়ে, এই গাড়িটি আরও ১২০ কিমি থেকে ১৫০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। অর্থাৎ বাস্তবে এই গাড়ির রেঞ্জ প্রায় ৩২০-৩৫০ কিলোমিটার। আরেকটি বিষয় বলে রাখা ভাল, গাড়ির টাচস্ক্রিনে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সহজ কাজ নয়। গাড়িতে বোতামের অভাব রয়েছে।
জেএসডব্লিউ এমজি মোটরস আজ গাড়ি জগতের সেরার সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। নতুন পথ গ্রহণ করতে, নতুন সেগমেন্টে প্রবেশ করতে এমজি মোটরস কোনওদিন ভয় পায়না। বৈদ্যুতিক গাড়ির বিভাগে একটি নতুন ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে। সবেচেয়ে বড় কথা হল কোম্পানিটির প্রথমে উৎপাদনে সম্পূর্ণ মহিলা-ভিত্তিক একটি দল তৈরি করে, তারপর স্টার্টআপ সিস্টেমকে সমর্থন করে বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য এন্ড-টু-এন্ড সমাধান তৈরি করে। ব্যাটারি-অ্যাজ-এ-সার্ভিস (BaaS) এর মতো উদ্ভাবনী পরিষেবা ছিল এঁদের প্রথম চেষ্টা। প্রথমে এটি MG ZS EV দিয়ে EV বাজার পরীক্ষা করে এবং তারপর MG Comet দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন গাড়ির সেগমেন্ট নিয়ে আসে।
তবে এই উইন্ডসোর গাড়ি এবার টাটা, নেক্সনের মত গাড়িকেও দিচ্ছে বড় টক্কর। ADAS, উন্নত পরিসর এবং প্রিমিয়াম ইন্টেরিয়রের সাহায্যে উইন্ডসর আগের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। MG প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং সাহসিকতার এক অনন্য প্যাকেজ অফার করেছে। ভবিষ্যতের মার্কেটে যে আরও বড় খেলোয়াড় হয়ে উঠবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
নতুন এমজি উইন্ডসর প্রো-তে কোম্পানি সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তনটি করেছে তা হল ব্যাটারি প্যাক। রয়েছে ৫২.৯ kWh ব্যাটারি প্যাক। স্টাইলে খুব বেশি পরিবর্তন না থাকলেও রয়েছে হেক্টরের বিশেষ অ্যালয় হুইল। আছে একটি বৈদ্যুতিক টেইল গেটও। তবে ব্যাটারি প্যাক বৃদ্ধির কারণে গাড়ির বুট স্পেস একটু কমে গিয়েছে। এমজি উইন্ডসর ইভির তুলনায় প্রায় ২৫ লিটার কম।
ব্যাটারি সহ এই গাড়ির বেস প্রাইস ১৭.৪৯ লক্ষ টাকা। আবার ব্যাটারি অ্যাজ আ সার্ভিস হিসাবে নিলে দাম ১২.৪৯ লক্ষ টাকা। যদিও এই দাম ছিল কেবল প্রথম ৮০০০ টি বুকিংয়ের জন্য। যা প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। এখন এই গাড়ির দাম আরও ৬০,০০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এর বিশেষ নকশা পাহাড়ি এলাকার ছোট এবং সরু রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য উপযুক্ত। এক্সক্লুসিভ রিভিউ করার পরে এটা বলাই যায় যে টাটা কার্ভের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে এই গাড়ি। তবে, রাস্তা খারাপ হলে শক্ত সাসপেনশন কিছুটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। সাউন্ড রেজোলিউশন আরেকটু ভাল হতে পারত।
