মঙ্গলের বুকে কেমন আছে নাসার রোভার ‘পারসিভের্যান্স’? দেখুন ভিডিয়ো
এই অভিযানে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রোভারের ল্যান্ডিং বা নিখুঁত অবতরণ হওয়া। কারণ মঙ্গল পৃষ্ঠে সঠিকভাবে রোভার অবতরণ করলে তবেই স্যাম্পেল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
লাল গ্রহের বুকে সফলভাবে ল্যান্ড করেছে নাসার পাঠানো রোভার ‘পারসিভের্যান্স’। কিন্তু কেমন আছে এই রোভার? তার কাজকর্মই বা কেমন চলছে? এইসব প্রশ্নের জবাব পাঠিয়েছে রোভার ‘পারসিভের্যান্স’।
সম্প্রতি নাসার তরফে টুইটে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই সপ্তাহে অসংখ্যা হেলথ চেকআউট হয়েছে রোভারের। অর্থাৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয়েছে যে রোভারের সমস্ত যন্ত্রাংশ ঠিক রয়েছে কিনা। কারণ সামনে রয়েছে প্রচুর কাজ। রোভার জানা দিয়েছে, সমস্ত কর্মকাণ্ডের জন্য সে প্রস্তুত।
This week I’ve been doing lots of health checkouts, getting ready to get to work. I’ve checked many tasks off my list, including instrument tests, imaging, and getting my arm moving. Warming up for a marathon of science. pic.twitter.com/A0aqhWVo5T
— NASA's Perseverance Mars Rover (@NASAPersevere) March 3, 2021
আপাতত কী কী কাজ করতে হবে রোভার ‘পারসিভের্যান্স’-কে?
ইন্সট্রুমেন্ট টেস্টিংয়ের পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহের ছবি সংগ্রহ করার কাজ রয়েছে রোভারের। নাসার প্রকাশ করা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সমস্ত যন্ত্রাংশ নড়িয়ে-চড়িয়ে দেখা নেওয়া হচ্ছে রোভারটিকে। সায়েন্সের ম্যারাথনের জন্য একদম ওয়ার্ম আপ করে নিচ্ছে রোভার ‘পারসিভের্যান্স’।
আরও পড়ুন- চিনের মঙ্গল অভিযান: লাল গ্রহের ছবি প্রকাশ করল স্পেসক্র্যাফট Tianwen-1
অনেকদিন ধরেই মঙ্গলগ্রহে প্রাণ ও জলের হদিশ চালাচ্ছিল নাসা। সেই জন্যই পাঠানো হয়েছে এই রোভার। এই রোভারের ডিজাইনের ক্ষেত্রে মোট চারটি বিষয় মাথায় রাখা হয়েছিল। ১। রোভারে কী কী যন্ত্রাংশ (ইন্সট্রুমেন্ট) থাকবে। ২। রোভার কোথায় যাবে। ৩। কী কী পরিমাপ থাকবে। ৪। রোভার কী কী স্যাম্পেল সংগ্রহ করবে।
এই অভিযানে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রোভারের ল্যান্ডিং বা নিখুঁত অবতরণ হওয়া। কারণ মঙ্গল পৃষ্ঠে সঠিকভাবে রোভার অবতরণ করলে তবেই স্যাম্পেল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। রোভারের নিখুঁত অবতরণ এবং সঠিকভাবে স্যাম্পেল সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসা, এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, তবেই সফল হবে অভিযান।
২০২০ সালের ৩০ জুলাই আমেরিকার ফ্লোরিডার কেপ কানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে থেকে অ্যাটলাস ফাইভ লঞ্চ ভেহিকেলে মঙ্গলে পাড়ি দেয় ‘পারসিভের্যান্স’। ৬ মাস ১৮ দিন পর সেই ‘পারসিভের্যান্স’ নামেছে মঙ্গলের মাটিতে।