মাঝেই খবরের পাতায় ভেসে ওঠে, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিরাট আকারের গ্রহাণু। ধ্বংসের আশঙ্কা নিয়েই সারা বিশ্ব বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। মহাকাশবিজ্ঞানীদের কথায়, এখনও পর্যন্ত ৪৫ ফুট বা এর চেয়ে বড় গ্রহাণু আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। মার্কিন গবেষণা কেন্দ্র নাসা জানিয়েছে, গত মাসে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে এমন বিশালাকার গ্রহাণুদের ধ্বংস করতে পারবে এমন প্রযুক্তিবিদদের প্রতিভা প্রকাশে সুযোগ দেওয়া হয়। সাড়ি তিন কোটি মাইল দূর থেকে ধেয়ে আসা একটি গ্রহাণু ধ্বংসের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কাল্পনিক গ্রহাণুকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন ও ইউরোপীয় দেশের মহাকাশ গবেষক-বিজ্ঞানীরা। আপাতত জানানো হয়েছে আগামী ছয় মাসের মধ্যে গ্রহাণু ঠেকানোর কোনও প্রযুক্তি পৃথিবীর কাছে নেই।
আরও পড়ুন- চাঁদের কাছাকাছি, আগামী ২৬ মে স্পষ্ট ভাবে ‘সুপার মুন’ দেখার বন্দোবস্ত করেছে কোয়ান্টাস এয়ারলাইন্স
উল্লেখ্য ওই কল্পিত গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছিল ২০২১পিডিসি। এক সপ্তাহ গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা হিসাব করে বের করেন যে, ২০ অক্টোবর পৃথিবীতে এটির আঘাতের সম্ভাবনা ৫ শতাংশ। পরের পর্যবেক্ষণের তারিখ আনা হয় ২ মে। নতুন গতিপথ হিসেবে দেখা যায়, ২০২১ পিডিসি নিশ্চিতভাবে ইউরোপ বা উত্তর আফ্রিকায় আঘাত হানতে পারে। সেই মতো বিভিন্ন মহাকাশযান দিয়ে গ্রহাণু ধ্বংস করে পৃথিবীর পথ থেকে হঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এত অল্প সময়ের মধ্যে মহাকাশ জগতে বিপ্লব ঘটনা সম্ভব নয় বলে বিবেচনা করা হয়। বিজ্ঞানীদের কথায়, কাল্পনিক হলেও এটা যদি বাস্তবেও ঘটচত তাহলেও এত কম সময়ের মধ্যে মহাকাশযান প্রেরণ করে পৃথিবীর পথ থেকে হঠানো সম্ভব ছিল না । এমনকি দ্রুত ফল পেতে গ্রহাণুটিকে পারমানবিক বোমা দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পদচ্যুত করার কথা ভাবা হয়েছিস। কিন্তু তা পৃথিবীর জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন- ঐতিহাসিক ঘটনা! নাসার পর এবার লালগ্রহের মাটিতে পা রাখল চিনের মহাকাশ যান