চাঁদের কাছাকাছি, আগামী ২৬ মে স্পষ্ট ভাবে ‘সুপার মুন’ দেখার বন্দোবস্ত করেছে কোয়ান্টাস এয়ারলাইন্স
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে যাত্রীদের নিয়ে উড়বে বিমান। ২৬ মে-র 'সুপার মুন' বা 'ব্লাড মুন' সুস্পষ্ট ভাবে দেখার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা।
২০২১ সালের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে আগামী ২৬ মে। এই ‘টোটাল লুনার ইক্লিপস’- এর দিন চাঁদকে বলা হবে ‘সুপার মুন’ বা ‘ব্লাড মুন’। গ্রহণ চলাকালীন লালচে কমলা রঙে এবং বেশ বড় আকারে দেখা যাবে এই চাঁদ। আর এমন নৈসর্গিক দৃশ্য চাক্ষুষ করার ব্যবস্থা করেছে কোয়ান্টাস এয়ারলাইন্স। সীমিত সংখ্যক যাত্রীর জন্য থাকছে এই সুযোগ। ইতিমধ্যেই সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এমনকি ‘ওয়েটিং লিস্ট’- ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে যাত্রীদের নিয়ে উড়বে বিমান। ২৬ মে-র ‘সুপার মুন’ বা ‘ব্লাড মুন’ সুস্পষ্ট ভাবে দেখার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। আড়াই ঘণ্টা ধরে দক্ষিণ আকাশেই উড়বে এই বিশেষ বিমান। ‘সুপার মুন’ বা ‘ব্লাড মুন’- এর নৈসর্গিক দৃশ্য দেখানোর পাশাপাশি B787 Dreamliner- এর যাত্রীদের জন্য ‘কসমিক ককটেল’ এবং ‘সুপার মুন কেক’- এরও ব্যবস্থা থাকবে।
কোয়ান্টাস এয়ারলাইনসের এই বিশেষ বিমানের ইকোনমি সিটের ভাড়া ভারতীয় মুদ্রায় ২৮,৩০০ টাকা। অন্যদিকে বিজনেস ক্লাসের টিকিটের দাম ৮৫,৫০০ টাকা। প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসের জন্য যাত্রীদের দিতে হবে ৫১,০০০ টাকা। কোয়ান্টাসের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গিয়েছে, ককটেল এবং কেক ছাড়াও ড্রিমলাইনার ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য বিশেষজ্ঞ Commonwealth Scientific and Industrial Research Organisation (CSIRO)- র জ্যোতির্বিদ ভানেসা মস- এর স্পেশ্যাল কমেন্ট্রির ব্যবস্থাও থাকবে। এর সঙ্গে যাত্রীদের স্পেশ্যাল উপহার, গিফট ব্যাক এবং একটি সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- ঐতিহাসিক ঘটনা! নাসার পর এবার লালগ্রহের মাটিতে পা রাখল চিনের মহাকাশ যান
সিডনি থেকে যাত্রা শুরুর পর এই বিমান প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে উড়ে যাবে। ৪০ হাজার ফুট উপর দিয়ে দূষণহীন জায়গার মধ্যে দিয়ে উড়বে কোয়ান্টাস এয়ারলাইন্সের এই বিমান।