Apple Watch SpO2: অক্সিজেন লেভেল নেমে যাচ্ছিল, 16 বছরের ছেলের প্রাণ বাঁচাল ‘জীবনদায়ী’ Apple Watch
SpO2 Reading On Apple Watch: কীভাবে অ্যাপলের এই স্মার্টওয়াচ তাঁর সন্তানের প্রাণ বাঁচিয়েছে, সান দিয়েগোর CBS 8 নিউজ় চ্যানেলের সঞ্চালক মার্সেলা লি সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। এই ঘটনা শুনলে সত্যিই অবাক হয়ে যেতে হয়, কীভাবে মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে অ্যাপল ওয়াচ।

Apple Watch Life Saving Feature: ‘জীবনদায়ী’ ফিচারের জন্য ফের মানুষের মন জিতল Apple Watch। কীভাবে অ্যাপলের এই স্মার্টওয়াচ তাঁর সন্তানের প্রাণ বাঁচিয়েছে, সান দিয়েগোর CBS 8 নিউজ় চ্যানেলের সঞ্চালক মার্সেলা লি সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। স্কিং ট্রিপের সময় এই ঘটনাটি ঘটেছিল বলে জানিয়েছেন ওই নিউজ় অ্যাঙ্কর।
লি জানিয়েছেন, তাঁর 16 বছরের পুত্র হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে যায় এবং স্কি করতে পারছিল না। তারপর তিনি লক্ষ্য করেন, ছেলের ঠোঁট এবং হাতের আঙুলগুলির অগ্রভাগ ধীরে-ধীরে নীল হয়ে আসছিল। সেই সময়ই লি তাঁর হাত থেকে অ্যাপল ওয়াচটি খুলে ছেলের হাতে পরিয়ে দেন অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল চেক করার জন্য। ঘড়িটি দেখায়, ছেলেটির ব্লাড অক্সিজেন লেভেল 66% হয়ে গিয়েছে।
তৎক্ষণাৎ লি এবং তাঁর স্বামী ইন্টারনেট অন করে জানার চেষ্টা করে, ব্লাড অক্সিজেন লেভেল 66% হয়ে গেলে কী হতে পারে। জানতে পারেন, কারও ব্লাড স্যাচুরেশন লেভেল 88 শতাংশের নীচে নেমে গেলেই তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরি। তারপর তাঁরা ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় ER-এর কাছে যান। সেখানে গিয়ে মেডিক্যাল ডিভাইস দিয়ে সন্তানের ব্লাড অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল চেক করে দেখেন 67%। নিশ্চিত হয়ে যান, অ্যাপল ওয়াচ সঠিকভাবে ব্লাড অক্সিজেন লেভেল ডিটেক্ট করতে পেরেছে।
পরবর্তীতে আরও টেস্টের পর ডাক্তাররা জানান, লি-এর সন্তানের ফুসফুস ফ্লুইডে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। সে হাই অল্টিটিউড পালমোনারি ইডেমায় (HAPE)ভুগছিল বলে ডাক্তাররা বুঝতে পারেন, যার কারণে ছেলেটির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। CBS 8 নিউজ়ের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কলোরাডোতে স্কি করছিলেন এমন 10,000 জন এই হাই অল্টিটিউড পালমোনারি ইডেমায় (HAPE) ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।
এদিকে সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, Apple Watch-এর ECG সেন্সর ডেটা নিখুঁত ভাবে স্ট্রেস প্রেডিকশন টুল হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াটারলু-র গবেষকরা এই গবেষণাটি করে দেখেছেন। ECG বা ইকোকার্ডিগ্রাম এমনই একটি টেস্ট, যা হার্ট বিট সচল রাখে যে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালগুলি তাদের টাইমিং এবং স্ট্রেনথ রেকর্ড করে। এই ECG-র দিকে তাকিয়ে ডাক্তাররা হার্টের স্বাভাবিক ছন্দ খুঁজে পান। হার্টে কোনও অনিয়ম থাকলে ECG করেই রোগীকে সতর্ক করতে পারেন ডাক্তাররা।
