YouTube: ইউটিউবে বন্ধ হচ্ছে ডিসলাইক কাউন্ট, প্রকাশ্যে আর দেখা যাবে না ভিডিয়োর ডিসলাইকের সংখ্যা
বেশ অনেকদিন ধরে সমীক্ষা এবং গবেষণার পরই ইউটিউব কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ডিসলাইক কাউন্ট সরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?
ইউটিউবে আর দেখা যাবে ডিসলাইকের সংখ্যা। আনুষ্ঠানিক ভাবে একথা ঘোষণা করেছেন ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, ইউটউব প্ল্যাটফর্মে কোনও ভিডিয়োর ক্ষেত্রেই আর ডিসলাইকের সংখ্যা দেখা যাবে না। কিন্তু কেন হঠাৎ ডিসলাইক কাউন্ট তুলে দিচ্ছে ইউটিউব? সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, ইউটিউবের সাম্প্রতিক এই ফিচার ছোট ক্রিয়েটর অর্থাৎ যাঁরা সদ্য হয়তো ইউটিউবে কাজ শুরু করেছেন, বা এখনও সেভাবে প্রচার পাননি, তাঁদের সাহায্য করবে। কারণ সাধারণত এই ধরনের ক্রিয়েটররা ডিসলাইক কাউন্টের ভিত্তিতে অনেকসময় ট্রোলের শিকার হন। কিংবা খুব সহজে টার্গেট বা নিশানায় চলে আসেন। অনেকসময় অকারণ হয়রানির সম্মুখীন হতে হয় ক্রিয়েটরদের। আর এই সমস্ত ঝামেলা এড়াতেই নতুন ফিচার চালু করছে ইউটিউব। কর্তৃপক্ষের দাবি ক্রিয়েটর এবং দর্শকদের মধ্যে সম্মানজনক সম্পর্ক বজায় রাখাই তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য। আর সেই জন্যই চালু হচ্ছে এই ফিচার।
তবে ইউটউব থেকে ডিসলাইক বাটন বা অপশন কিন্তু উধাও হচ্ছে না। অর্থাৎ কেবলমাত্র ডিসলাইক কাউন্ট দেখা যাবে না। তবে ডিসলাইক বাটন থাকবে। তাই কোনও ভিডিয়ো দেখে অপছন্দ হলে, ডিসলাইক দিতে পারবেন ইউজাররা। তবে পাবলিকলি অর্থাৎ জনসমক্ষে ডিসলাইক কাউন্ট দেখা না গেলেও ক্রিয়েটরদের কাছে ব্যক্তিগত ভাবে (প্রাইভেট ফিডব্যাক) ডিসলাইক কাউন্ট পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ কনটেন্ট ক্রিয়েটর নিজের কনটেন্টের ডিসলাইকের সংখ্যা জানতে পারবেন, দেখতে পাবেন। এর ফলে জনসমক্ষে যে ধরনের ট্রোল হয়, তার হাত থেকে নিস্তার পাবেন ক্রিয়েটররা। এর পাশাপাশি ডিসলাইক কাউন্ট অর্থাৎ সংখ্যা দেখে ক্রিয়েটর নিজের কনটেন্টেরও উন্নতি করতে পারবেন। বুঝতে পারবেন যে দর্শক কী ধরনের কনটেন্ট চাইছেন। অর্থাৎ সবদিক থেকেই লাভজনক হবে ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটররা।
বেশ অনেকদিন ধরে সমীক্ষা এবং গবেষণার পরই ইউটিউব কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ডিলাইক কাউন্ট সরিয়ে দেওয়া হবে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে স্মল বা ছোট ক্রিয়েটরদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়। এর ফলে ক্রিয়েটররা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তাঁদের মনোবল ভেঙে যায়। কিন্তু ডিসলাইক কাউন্ট প্রকাশ্যে দেখা না গেলে আর এই ধরনের সমস্যা হবে না। নির্দিষ্ট ভাবে কেউ ট্রোলার শিকার হবেন না বা কারও নিশানায় থাকবেন না। ফলে ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে ভালভাবে কাজ করতে পারবেন ছোট ক্রিয়েটররাও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় যে ছোট কনটেন্ট ক্রিয়েটররা হয়তো কাজ শুরুর পরপরই ডিসলাইক কাউন্টের জন্য ব্যাপকভাবে ট্রোল হয়ে চ্যানেলই বন্ধ করে দেন। অন্তত ডিসলাইক কাউন্ট প্রকাশ্যে দেখা না গেলে, এ ধরনের ঘটনা তুলনায় কমে যাবে।