গত কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণু নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে মহাকাশপ্রেমীদের কাছে। কয়েকবার একেবারে গা ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে, কোনওটা আবার পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসার আগেই ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। প্রতিবার বরাত জোড়ে বেঁচে গিয়েছে এই ধরিত্রী। তবে এবার বোধ হয় ভাগ্য সহায় নাও হতে পারে। প্রায় ৪,৫০০ফুট ব্যাসের একটি কঠিন বস্তু পৃথিবীর একেবারে কাছে এসে পড়েছে। নাসা জানিয়েছে, ‘বিপজ্জনক’ ভাবে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু 2016 AJ193। কবে জানেন? ২১ অগস্ট, মানে আজ রাতেই পৃথিবী ধ্বংসের মুখে পড়তে চলেছে!
নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর পাশ থেকে পেরনোর সময় গ্রহাণুটির গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘণ্টায় ৯৪,২০৮ কিমি। পৃথিবী থেকে চাঁদের যা দূরত্ব তার ন’ গুণ দূর থেকে যাবে গ্রহাণুটি। টেলিস্কোপ দিয়ে ওই ১.৪ কিমি লম্বা গ্রহাণুকে দেখতে পাবেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তবে এবারেও পৃথিবীর ভাগ্য ভাল রয়েছে বলতে হয়। কারণ চাঁদের থেকেও ন’ গুণ দূর থেকে যাওয়া সত্ত্বেও কেন একে বিপজ্জনক বলছেন নাসার বিজ্ঞানীরা, তার কারণ, এ বার কোনও ক্ষতি না করলেও ২০৬৩ সালে ফের ফিরবে এই গ্রহাণু।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে হাওয়াইয়ের হালেকালা অবজারভেটরিতে অবস্থিত প্যানোরামিক সার্ভে টেলিস্কোপ এবং র্যাপিড রেসপন্স সিস্টেম (প্যান-স্টারস) সুবিধা দ্বারা গ্রহাণুটিকে প্রথম চিহ্নিত করা হয়। এরপর নাসা উড়ন্ত বস্তু পর্যবেক্ষণের জন্য NEOWISE মহাকাশযান ব্যবহার করে। EarthSky-এর মতে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন যে গ্রহাণুটি খুব অন্ধকার। তবে এর আবর্তনের সময়কাল, মেরুর দিক এবং স্পেকট্রাল সবই অজানা।