জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে উৎসাহীরা আপাতত মজেছেন ওয়ার্ল্ড স্পেস উইক উদযাপনে। ৪ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে সেলিব্রেশন। আর এই ইভেন্ট যাতে ছোট মেয়েদের মনে জায়গা করে নিতে পারে, তাঁরা যাতে মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণায় নিজেদের কেরিয়ার গড়ার উৎসাহ পায় এবং সেই সঙ্গে STEM অর্থাৎ সায়েন্স-টেকনোলজি-ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথেম্যাটিক্সের প্রতি মন দেয়, সেজন্য ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এবার একটি বার্বি পুতুলের মতো মহাকাশচারী তৈরি করেছে। ইউরোপীয় মহিলা নভশ্চর সামান্থা ক্রিস্টোফোরেত্তির মতো করে তাঁরই আদলে তৈরি হয়েছে এই স্পেশ্যাল বার্বি পুতুলের মডেল।
শুধু পুতুল তৈরি করেই থেমে থাকেনি ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। এর পাশাপাশি জার্মানির একটি বেসে শূন্য মাধ্যাকর্ষণ বা জিরো গ্র্যাভিটি পরিস্থিতি তৈরি করে চলছে মহড়া। মহাকাশে পাঠানোর আগে ওই বার্বি পুতুলকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই নভশ্চরের রূপে ওই বার্বি পুতুলের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা গিয়েছে পুতুলের পরনে রয়েছে সাদা রঙের স্পেসওয়াকিং স্যুট। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কন্যা দিবসে আত্মপ্রকাশ করেছিল এই বার্বি পুতুলের মডেল। ওই সময় আরও একটি পুতুল প্রকাশ্যে এসেছিল। তার পরনে ছিল নীল রঙের ফ্লাইট স্যুট। তার উপর রয়েছে ESA- র লোগো।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর ছিল বার্বির ৬০তম জন্মদিন। আর সেই দিনেই জিরো গ্র্যাভিটি ফ্লাইটে রাখা হয়েছিল সাদা স্পেসওয়াকিং স্যুট পরা ওই নভশ্চর বার্বি পুতুলের মডেলটিকে। মূলত বাচ্চা মেয়েরা স্কুলের পঠনপাঠনের শুরুর দিক থেকেই যেন মহাকাশ গবেষণায় আগ্রহ দেখায় সেই জন্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রীরা যেন STEM — science, technology, engineering, mathematics- এই সমস্ত বিষয়ে আগ্রহ দেখায়, পড়ায় জোর দেয়, তাই জন্যই বার্বি পুতুলের আদলে তৈরি মহিলা মহাকাশচারীর মডেল দেখিয়ে তাদের আকর্ষিত করার চেষ্টা করেছে ইউরোপীয় এজেন্সি।
এর পাশাপাশ এও জানা গিয়েছে যে ব্রিটেন এবং ইউরোপের বিভিন্ন খেলনার দোকানে এই দুই অস্ট্রোনট বার্বি পুতুল বিক্রি হচ্ছে। সেখান থেকে যে পরিমাণ টাকা উপার্জন হবে, তা একটি অলাভজনক সংস্থা ওমেন ইন এরোস্পেস (WIA)- এর কাছে পৌঁছে যাবে। এই সংস্থায় অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ওই অর্থ ব্যবহার করা হবে বলা জানা গিয়েছে। একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে যে মহিলা নভশ্চর সামান্থা ক্রিস্টোফোরেত্তির আদলে এই বার্বি পুতুল তৈরি হয়েছে, সেই সামান্থা প্রথম ইউরোপীয় মহিলা ময়াহাকশচারী যিনি আগামী বছএ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কম্যান্ড করবেন। নিজের দেশ ইতালিতে সামান্থা পরিচিত ‘অ্যাস্ট্রো সামান্থা’ বা ‘অ্যাস্ট্রো স্যাম’ নামে। সামান্থা নিজেও এই উদ্যোগের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁর মতে জিরো গ্র্যাভিটিতে ভাসমান এই নভশ্চর বার্বি পুতুলদের দেখে ছোট মেয়েরা মহাকাশ গবেষণা এবং মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয়ের উপর আগ্রহ পাবে। আগামী প্রজন্মকে মহাকাশের ব্যাপারে উৎসাহ দেবে এই অস্ট্রোনট বার্বি পুতুল।
আরও পড়ুন- Movie in Space: মহাকাশে সিনেমার শুটিং! পাড়ি দিলেন পরিচালক-অভিনেত্রী