মঙ্গলগ্রহের বুকে ডানা মেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে চিনের পাঠানো রোভার ঝুরং। সেই সঙ্গে ঈগলের মতো তীক্ষ্ণ চোখে চলছে পর্যবেক্ষণ। দেখে মনে হচ্ছে, যেন অতিকায় কোনও ঈগল বা বাজপাখি লালগ্রহের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সম্প্রতি চিনের মার্সা রোভার ঝুরংয়ের এমন ছবিই প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, রোভারের সোলার প্যানেলের দু’দিক থেকে বেরিয়েছে পাখির ডানার মতো দু’টি অংশ। এছাড়াও ওই সোলার প্যানেলের উপরে লাগানো রয়েছে একটি অত্যাধুনিক ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার দু’টি লেন্স, দুটো চোখের মতো রয়েছে। সর্বক্ষণ নজরদারি চলছে মঙ্গলগ্রহের উপর।
মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার পর চিনের তরফেও লালগ্রহে পাঠানো হয়েছে একটি রোভার। মে মাসের প্রথম দিকে মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করেছিল চিনের মার্স রোভার ঝুরং। প্রথমবার অভিযান করেই সফল হয়েছে এই রোভার। চিনের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এই ঘটনা মাইলস্টোন তৈরি করেছে। এই রোভারের নামকরণ হয়েছে চিনের অগ্নি দেবতা (ফায়ার গড বা গড অফ ফায়ার) ঝুরং- এর নাম অনুসারে। মার্সিয়ান লাভা প্লেন যাকে ইউটোপিয়া প্ল্যানিশিয়া বলা হয়, মূলত সেই বিস্তীর্ণ এলাকার টোপোগ্রাফি পর্যবেক্ষণ করছে চিনের এই রোভার। চিনের জাতীয় স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে লালগ্রহের লালচে পৃষদেশের উপর রোভারের চাকার দাগ স্পষ্ট ভাবে বোঝা গিয়েছে। এই ঘটনাকে মঙ্গলগ্রহের বুকে চিনের পদচিহ্ন বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই দেশের তরফে। চিনের একটি বিশাল পতাকাও সেখানে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘দ্য লেডি অফ দ্য স্টারস’, ইতালির জ্যোতির্বিজ্ঞানী মার্গারিটা হ্যাককে সম্মান গুগল ডুডলের
২৪০ কিলোগ্রাম ওজনের সোলার পাওয়ার বা সৌরশক্তি সম্পন্ন ছ’চাকা যুক্ত চিনের মার্স রোভার ঝুরং প্রায় তিনমাস মঙ্গলগ্রহের বুকে থেকে পর্যবেক্ষণ চালাবে বলে শোনা গিয়েছে। লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলবে এই রোভার। এছাড়াও রক স্যাম্পেল সংগ্রহ করবে। মঙ্গলগ্রহের জিওগ্রাফিকাল ডেটা সংগ্রহ করে সেই প্রসঙ্গে অনুসন্ধান চালানোর চেষ্টাও করবে। মঙ্গলগ্রহে জল এবং প্রাণের সন্ধান করতেই সেখানে এই রোভার ঝুরং পাঠিয়েছে চিন।