উত্তর গোলার্ধের বাসিন্দারা ২০ সেপ্টেম্বর ফুল মুন বা পূর্ণিমা দেখতে পাবেন। রাতের আকাশে উজ্জ্বল এই চাঁদের কিন্তু একটা বিশেষত্ব রয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের এই ফুল মুনকে বলা হয় হার্ভেস্ট মুন। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই চাঁদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছিল স্যাটার্ন এবং জুপিটার অর্থাৎ শনি এবং বৃহস্পতি গ্রহ। তারপরেই এই ফুল মুন চাক্ষুষ করা সম্ভব হয়েছে। এই ফুল মুন আবার সেপ্টেম্বর ইকুইনক্সের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। অর্থাৎ হার্ভেস্ট মুনের সময় যে পূর্ণ চন্দ্র দেখা যায় তা সেপ্টেম্বর ইকুইনক্সের কাছাকাছি অবস্থান করছে।
সাধারণত বেশিরভাগ সময় বছরের এই সেপ্টেম্বর মাসেই হার্ভেস্ট মুন দেখা যায়। কিন্তু প্রতি তিন বছর অন্তর এই ঘটনা ঘটে অক্টোবর মাসে। ২০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে উজ্জ্বল ভাবে দেখা যাবে এই হার্ভেস্ট মুন। প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ পূর্ণ চন্দ্র দেখা যাবে এদিন। পরবর্তী পর্যায় দেখা যাবে ২১ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সময় সকাল ৫টা ২৪মিনিটে। মূলত চাঁদ যখন সূর্য থেকে পৃথিবীর থেকে অন্যদিকে থাকে, তখন পূর্ণিমা হয়। অন্যদিকে আবার ২২ সেপ্টেম্বর থেকে অটাম ইকুইনক্স শুরু হতে চলেছে।
বলা হয়ে থাকে যে হার্ভেস্ট সামার সিজনের লাস্ট ফুল মুন। অনেকে আবার বলেন অটাম বা শরতের সূচনা হয় এই হার্ভেস্ট মুন দিয়ে। অর্থাৎ অটাম সিজনের প্রথম ফুল মুন হার্ভেস্ট মুন। EarthSky- এর রিপোর্ট অনুসারে দক্ষিণ গোলার্ধ বা সাউদার্ন হেমিস্ফিয়ারে এই হার্ভেস্ট মুন দেখা যায় মার্চ মাস কিংবা এপ্রিলের শুরুতে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ২৮ মার্চ দক্ষিণ গোলার্ধে হার্ভেস্ট মুন দেখা গিয়েছিল। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ১৮ মার্চ দক্ষিণ গোলার্ধ বা সাউদার্ন হেমিস্ফিয়ারে হার্ভেস্ট মুন দেখা যাবে।
সেপ্টেম্বর মাসের এই সময় উত্তর গোলার্ধ বা নর্দার্ন হেমিস্ফিয়ারে চাষবাসের কাজ হয়। একসময় যখন বিদ্যুতের আবিষ্কার হয়নি কিংবা সর্বত্র বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, তখন রাতের বেলায় চাষের কাজ করার জন্য মাঠে, ক্ষেতে ভরসা ছিল চাঁদের আলো। সূর্যাস্তের পর প্রধান আলোর উৎস ছিল চাঁদ। ফলে যেদিন পূর্ণিমা থাকত চাষের কাজ ভালভাবে করা যেত। তাই এই ফুল মুন বা পূর্ণিমার নাম হয়েছে হার্ভেস্ট মুন। অর্থাৎ চাঁদের আলোয় চাষের কাজে সাহায্য হওয়ায় পূর্ণিমার উজ্জ্বল চাঁদের নামকরণ হয় ‘হার্ভেস্ট মুন’।