AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Vikram-S Rocket Launch: দেশের প্রথম বেসরকারি রকেট ‘বিক্রম-এস’কে মহাকাশে পাঠিয়ে ইতিহাস রচনা স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের

India's First Private Rocket: মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপিত হল দেশের প্রথম বেসরকারি রকেট Vikram-S এর। এই রকেটের নির্মাণকারী সংস্থা Skyroot Aerospace এই প্রাইভেট রকেটটিকে শুক্রবার উৎক্ষেপণ করেছে।

Vikram-S Rocket Launch: দেশের প্রথম বেসরকারি রকেট 'বিক্রম-এস'কে মহাকাশে পাঠিয়ে ইতিহাস রচনা স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের
Vikram-S: সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপিত দেশের প্রথম প্রাইভেট রকেট।Image Credit: Skyroot Aerospace
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2022 | 2:14 PM
Share

Skyroot Aerospace: শুক্রবার দেশের প্রথম বেসরকারি রকেট Vikram-S-কে মহাকাশে পাঠিয়ে ইতিহাস রচনা করল স্কাইরুট অ্যারোস্পেস। সফলভাবেই স্পেসে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে দেশের প্রথম বেসরকারি রকেটটিকে। আর এর মধ্যে দিয়েই প্রাইভেট সেক্টরে পথচলা শুরু হল ভারতের স্পেস প্রোগ্রামের, যা এতদিন যাবৎ সরকারি ভাবেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল এবং অর্থও খরচ করা হত ভারত সরকারের তরফেই। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকেই এদিন ইসরো তথা ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গ্যানাইজ়েশন এই Vikram-S রকেটটি লঞ্চ করেছিল। রকেটটি 90 কিলোমিটারের বেশি উচ্চতা স্পর্শ করে তিনটি কাস্টমার পেলোড সহযোগে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।

স্কাইরুট অ্যারোস্পেস বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, Vikram-S রকেটটি 89.9 কিলোমিটারের সর্বোচ্চ উচ্চতা স্পর্শ করেছে, যা শব্দের গতির পাঁচগুণ Mach 5 গতি অর্জন করেছে। লঞ্চ ভেহিকলটি মিশনের সমস্ত প্যারামিটার ছুঁয়েছে বলে স্কাইরুট অ্যারোস্পেস দাবি করছে। পাশাপাশি সংস্থা আরও জানিয়েছে যে, এর মাধ্যমে পরের বছর তাদের Vikram-I পথও পরিষ্কার হয়ে গেল। Vikram-S রকেট লঞ্চের পর স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পবন কুমার চন্দনম বলছেন, “ভারতের প্রথম বেসরকারি রকেট লঞ্চ করে আমরা ইতিহাস রচনা করেছি। এটি নতুন ভারতের সংকেত এবং অসাধারণ ভবিষ্যতের #প্রারম্ভ।”

তবে প্রারম্ভ একটি প্রদর্শনী মিশন হলেও সংস্থার জন্য এটি ফুল-স্কেল উপমহাদেশীয় উৎক্ষেপণ। এর লক্ষ্য হল ভারতের বেসরকারি মহাকাশ খাতকে আরও শক্তিশালী করা। বিক্রম রকেটের প্রযুক্তি, ইঞ্জিন এবং নকশা যাচাই করে মিশনটি প্রমাণ করেছে, লো আর্থ অরবিটেও এটি ভারী পেলোড চালু করতে সক্ষম।

বিক্রম রকেটের মোট তিনটি ভ্যারিয়েন্ট ডেভেলপ করছে সংস্থা, যাদের নামকরণ করা হচ্ছে বিক্রম সারাভাইয়ের নামে- ভারতীয় স্পেস প্রোগ্রামের জনক ছিলেন যিনি। Vikram-I যেখানে লো আর্থ অরবিট থেকে 480 কিলোগ্রাম পেলোড বহন করতে পারে, ঠিক সেখানেই Vikram-II এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে, তা যেন 595 কিলোগ্রামের কার্গো তুলতে পারে। তবে সবথেকে শক্তিশালী হতে চলেছে Vikram-III, যা লঞ্চ করা যেতে পারে 815 কেজি থেকে 500 কিমি নিম্ন প্রবণতা কক্ষপথে।

এই মিশন ভারতের স্পেস প্রোগ্রামকে প্রাইভেট সেক্টরে প্রবেশ করাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং চিনের মতোই। Vikram-S যেখানে স্কাইরুট অ্যারোস্পেস দ্বারা ডেভেলপ করা হয়েছে, ঠিক সেখানেই ISRO এর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন পরীক্ষা করার জন্য দক্ষতা এবং সুবিধা প্রদান করেছে।

দেশের প্রথম বেসরকারি রকেট লঞ্চ একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিল যে, এটি শুধুই যানবাহনগুলির বিকাশ বা নকশা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তার থেকেও অনেক বেশি গ্রাহকদের এই খাতে বিনিয়োগে আকর্ষণ করতেও সক্ষম হবে। কারণ, এত দিন পর্যন্ত এই সেক্টর কেবল সরকারের টাকার উপরেই নির্ভরশীল ছিল। খুব সম্প্রতি ভারত তার বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য মহাকাশ খাত খুলে দিতেই ইসরো এবং ইনস্পেস, একটি রকেট সিস্টেমের জটিল ডিজ়াইন সম্পর্কে দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রদানের জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে দিনরাত এক করে কাজ করছে।

এদিনের লঞ্চ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী ডক্টর জিতেন্দ্র সিং। তাঁর কথায়, “ভারতের মহাকাশ কর্মসূচীর যাত্রায় এটি সত্যিই একটি নতুন সূচনা, নতুন ভোর, নতুন প্রারম্ভ। ভারতের নিজস্ব রকেট তৈরির ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পদক্ষেপ এবং দেশের স্টার্টআপ আন্দোলনের একটি টার্নিং পয়েন্ট। স্কাইরুট খুব ভাল কাজ করেছে।”