Gaganyaan Mission: ২০২৩ সালে লঞ্চ হবে ইসরোর গগনযান মিশন, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

গগনযান মিশনের লক্ষ্য হল লো আর্থ অরবিটে মানুষ অর্থাৎ নভশ্চরদের পাঠানো। ভারতে তৈরি মহাকাশযানে করেই এই লো আর্থ অরবিটে যাবেন নভশ্চরা।

Gaganyaan Mission: ২০২৩ সালে লঞ্চ হবে ইসরোর গগনযান মিশন, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
ছবি প্রতীকী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2021 | 6:50 PM

বহু প্রতীক্ষিত হিউম্যান স্পেসফ্লাইট মিশন লঞ্চ করতে চলেছে ভারত। ২০২৩ সালে গগনযান লঞ্চ করবে ইসরো। কোভিডের কারনে দীর্ঘদিন ধরেই পিছিয়ে যাচ্ছে গগনযানের লঞ্চ। এবার শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন যে ২০২৩ সালে লঞ্চ করা হবে ইসরোর গগনযান। এর আগে ২০২২ সালের অগস্ট মাসে এই মিশন শুরু হবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। এবার শোনা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে লঞ্চ হবে গগনযান। এই প্রথম হিউম্যান্স স্পেস মিশন হতে চলেছে ভারতের মাটিতে। এই গগনযান মিশনে সফল হলে ভারতে চতুর্থ দেশ হিসেবে নির্বাচিত হবে যা একটি ম্যানড স্পেস ফ্লাইট লঞ্চ করবে।

গগনযান মিশনের লক্ষ্য হল লো আর্থ অরবিটে মানুষ অর্থাৎ নভশ্চরদের পাঠানো। ভারতে তৈরি মহাকাশযানে করেই এই লো আর্থ অরবিটে যাবেন নভশ্চরা। আবার ফিরেও আসবেন পৃথিবীতে। ইসরো- র দ্বারা যে এই মিশন সম্ভব, সেটাই গোটা দুনিয়াকে এবার দেখানোর পালা। চারজন ভারতীয় নভশ্চরের ট্রেনিংও হয়েছে রাশিয়াতে। গগনযান প্রোগ্রামের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এই প্রশিক্ষণ। গগনযানের জন্য নতুন একটি স্যাটেলাইট লঞ্চ বা উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো। ভারতের এই স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, তারা একটি ‘ডেটা রিলাই’ স্যাটেলাইট লঞ্চ করতে চলেছে।

রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে, ২০২২ সালের মধ্যে গগনযান সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের বড় পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্রু এসকেপ সিস্টেমের ভ্যালিডেশনও করা হবে, আগামী বছর ২০২২ সালের প্রথমভাগে প্রথম uncrewed mission হবে। আর বছরের দ্বিতীয়ভাগে দ্বিতীয় uncrewed mission চালু হবে। এই দ্বিতীয় মিশনে Vyommitra- একটি হিউম্যানয়েড রোবট নিয়ে যাওয়া হবে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) এই হিউম্যানয়েড রোবট তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে স্বাধীনতা দিবসে গগনযান মিশনের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

এই গগনযান মিশনে সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারতের নাম যুক্ত হবে। যে চারজন নভশ্চরের রাশিয়ায় ট্রেনিং হয়েছে, তাঁদের বেঙ্গালুরুতেও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাশিয়া এবং ফ্রান্সের স্পেস এজেন্সির সঙ্গেও চুক্তি করেছে ইসরো। এই দুই দেশের থেকে বেশ কিছু ইকুইপমেন্ট কেনা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৫০০- র বেশি ইন্ডাস্ট্রি এই গগনযান মিশন লঞ্চের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন- Earth’s Water Source: পৃথিবীতে জলের উৎস কী? বরফ ধুমকেতু ও মহাকাশের ধূলিকণার নতুন তত্ত্ব নিয়ে জোর চর্চা

আরও পড়ুন- Exoplanet: বৃহস্পতির তুলনায় ১০ গুণ বড়! নতুন গ্রহের সন্ধান পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

আরও পড়ুন- Solar Storm: সৌরঝড় নিয়ে নাসার সতর্কতা, মাঝারি প্রভাবের সম্ভাবনা নীলগ্রহের দক্ষিণ ভাগে