AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Solar Storm: সৌরঝড় নিয়ে নাসার সতর্কতা, মাঝারি প্রভাবের সম্ভাবনা নীলগ্রহের দক্ষিণ ভাগে

ডক্টর ট্যামিথা স্কভ (space weather physicist) জানিয়েছেন, এই করোনাল মাস ইজেকশনের ফলে যেটুকু প্রভাব পড়বে তা নীলগ্রহের দক্ষিণভাগেই দেখা যাবে।

Solar Storm: সৌরঝড় নিয়ে নাসার সতর্কতা, মাঝারি প্রভাবের সম্ভাবনা নীলগ্রহের দক্ষিণ ভাগে
ছবি প্রতীকী।
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2021 | 7:22 PM
Share

ফের একবার সৌর ঝড় নিয়ে সতর্ক করেছে নাসা। মার্কিন স্পেস এজেন্সির মতে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সৌর ঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। এর ফলে ঘূর্ণায়মান সূর্যের ধ্বংসাবশেষ (swirling Sun debris) পৃথিবীপৃষ্ঠে প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা। নাসা জানিয়েছে, প্লাজমা এবং চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের একটি করোনাল মাস ইজেকশন (CME) সূর্য থেকে এই সপ্তাহের শুরুতেই সরে গিয়েছে এবং এটিই পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নাসার সতর্কবাতায় অনুমান করা হয়েছে সাম্প্রতিক এই ফিলামেন্ট বিস্ফোরণ পৃথিবীর দক্ষিণভাগে একটি বড়সড় আঘাত দিতে পারে। রেডিয়ো তরঙ্গ এবং জিপিএস পরিষেবাতেও কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সোলার স্টর্ম বা সৌর ঝড় বা করোনাল মাস ইজেকশন (CME) নতুন কোনও ঘটনা নয়। আজকাল মাঝে মাঝেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। সূর্য থেকে যখন শক্তি (প্লাজমা) নির্গত হয় তখন তা সূর্যের বাইরের অংশ বা করোনার চৌম্বক ক্ষেত্রের দ্বারা বেষ্টিত থাকে। এই দুই উপাদান সূর্য থেকে নির্গত হয়ে সৌর বায়ুর সঙ্গে ধাবিত হয়। সৌরমণ্ডলের অন্যত্র গমন করে এইসব উপাদান। US Space Weather Prediction Centre জানিয়েছে, CME সূর্য থেকে নির্গত হওয়ার পর ভয়াবহ গতিতে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীতে পৌঁছোতে পারে। অন্যদিকে আবার নাসার তরফে জানানো হয়েছে যে এই CME গত সোমবার পৃথিবীর দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। শনিবার অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা পৃথিবীতে পৌঁছোবে বলেও অনুমান করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই CME আসলে ফাস্টেস্ট মুভিং CME- এর অন্তর্ভুক্ত নয়।

তবে এর সঙ্গে সঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন যে, সূর্যের বিস্ফোরণের পরে ঘূর্ণায়মান ধ্বংসাবশেষ খুব সামান্য পরিমাণেই পৃথিবীতে পৌঁছোবে। মূলত পৃথিবীর দক্ষিণ ভাগে পৌঁছোবে এই সমস্ত ডেব্রিস। আর এর জেরে কোনও জিওমেট্রিক স্টর্ম তৈরি হবে না। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, দুই মেরু বরাবর অরোরা সঠিক ভাবেই দেখা যাবে।

ডক্টর ট্যামিথা স্কভ (space weather physicist) জানিয়েছেন, এই করোনাল মাস ইজেকশনের ফলে যেটুকু প্রভাব পড়বে তা নীলগ্রহের দক্ষিণভাগেই দেখা যাবে। নাসার অনুমান, সাম্প্রতিক এই ফিলামেন্ট বিস্ফোরণ ১১ ডিসেম্বরের শেষের দিকে পৃথিবীর দক্ষিণ ভাবে একটা প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু উচ্চ অক্ষাংশে অরোরা সঠিক ভাবেই দেখা যাবে। গুরুতর কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন- Ghost Particle: ইতিহাসে প্রথমবার পার্থিব কোনও যন্ত্রে ধরা পড়ল ভূতুড়ে কণা ‘নিউট্রিনো’, কী কী জানা যাবে এর থেকে?

আরও পড়ুন- Running Man Nebula: নীহারিকার মনোমুগ্ধকর ছবি! নাসার হাব্বল স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়ল ‘রানিং ম্যান নেবুলা’