Chandrayaan-3: ফের পৃথিবীর দিকে আসছে চন্দ্রযান-3, কিন্তু হঠাৎ কেন এই প্রত্যাবর্তন?

Chandrayaan 3 Rocket Body: ISRO জানিয়েছে, LVM3 M4 লঞ্চ ভেহিক্যালের উপরের অংশ 'ক্রায়োজেনিক, যা চন্দ্রযান-3 মহাকাশযানকে নির্ধারিত কক্ষপথে পাঠিয়েছিল। তা বুধবার পুনরায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে। ISRO-র মতে, চন্দ্রযান-3 মহাকাশযানের অংশ ছিল রকেট বডি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আবার প্রবেশ করেছে।

Chandrayaan-3: ফের পৃথিবীর দিকে আসছে চন্দ্রযান-3, কিন্তু হঠাৎ কেন এই প্রত্যাবর্তন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2023 | 4:16 PM

চলতি বছরের 23 আগস্ট, ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-3 অবতরণ করে ইতিহাস তৈরি করেছে। চন্দ্রযানের বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের পৃষ্ঠের অনেক খনিজ সহ আরও অনেক বিষয়ে গবেষণা করে চলেছে। তবে এখন ISRO চন্দ্রযান-3 সম্পর্কিত আরেকটি বড় আপডেট শেয়ার করেছে। চন্দ্রযান-3-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আবার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে। ISRO জানিয়েছে, LVM3 M4 লঞ্চ ভেহিক্যালের উপরের অংশ ‘ক্রায়োজেনিক, যা চন্দ্রযান-3 মহাকাশযানকে নির্ধারিত কক্ষপথে পাঠিয়েছিল। তা বুধবার পুনরায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে। ISRO-র মতে, চন্দ্রযান-3 মহাকাশযানের অংশ ছিল রকেট বডি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আবার প্রবেশ করেছে।

যখন চন্দ্রযান-3 উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন লঞ্চার যান LVM3 M4-এর ক্রায়োজেনিক উপরের পর্যায় ‘প্যাসিভেশন’ চালায়। এই প্রক্রিয়ায়, সমস্ত অবশিষ্ট প্রোপেলান্ট এবং শক্তির উৎসগুলি সরানো হয়, যাতে বিস্ফোরণের কোনও রকম ঝুঁকি না থাকে। তখন জাতিসংঘ (UN) এবং ইন্টার-এজেন্সি স্পেস ডেব্রিস কোঅর্ডিনেশন কমিটির (IADC) সমস্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করা হয়েছিল। এখন LVM3 M4-এর ক্রায়োজেনিক উপরের স্তর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পুনঃপ্রবেশ করেছে বলেই জানাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।

124 দিনের মধ্যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশ…

রকেটের এই অংশটি 15 নভেম্বর দুপুর 2.42 টায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। ISRO-এর মতে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে একে স্থাপন করা হয়েছে। চূড়ান্ত গ্রাউন্ড ট্র্যাক ভারতের উপর দিয়ে যায়নি। এই রকেট বডি তার উৎক্ষেপণের 124 দিনের মধ্যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশ করেছে।

তবে বিক্রম আর প্রজ্ঞান এখন কোথায়?

ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান সফলভাবে তাদের মিশন সম্পন্ন করেছে এবং চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অনেক গবেষণা চালিয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার পরে, অর্থাৎ চাঁদে অন্ধকার নেমে আসার পরে ISRO উভয় যন্ত্রকেই স্লিপ মোডে রেখেছিল। তবে, বিক্রম ল্যান্ডারের রিসিভার চালু রাখা হয়েছিল, যাতে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়।