Blue Origin: ব্যক্তিগত স্পেস স্টেশন ‘অরবিটাল রিফ’ লঞ্চ করতে চলেছে জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন সংস্থা
সম্প্রতি একটি প্রেস বিবৃতিতে ব্লু অরিজিন সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে তাদের আসন্ন স্পেস স্টেশনের নাম হবে অরবিটাল রিফ। মহাকাশে বাণিজ্যিক পার্ক হিসেবে মিশ্র পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হবে এই স্পেস স্টেশন বা বিজনেস পার্ক।
এবার স্পেস স্টেশন লঞ্চ করতে চায় জেফ বেজোসের সংস্থা ব্লু অরিজিন। ইতিমধ্যেই মহাকাশ পর্যটনের ব্যবসায় বেশ উল্লেখ্যজনক স্থান দখল করেছে অ্যামাজনের প্রাক্তন সিইও- র এই সংস্থা। এবার স্পেস স্টেশন লঞ্চ করতে চায় তারা। জানা গিয়েছে, ১০ জনের মতো লোকের থাকার বন্দোবস্ত করা সম্ভব হবে এই স্পেস স্টেশনে। এই দশকের দ্বিতীয়ভাগে স্পেস স্টেশন লঞ্চের পরিকল্পনা রয়েছে ব্লু অরিজিন সংস্থার। এমনিতেই গত কয়েক বছর ধরে মহাজাগতিক বাণিজ্যিকীকরণের হুজুগ বেড়েছে। সেই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে ব্লু অরিজিন সংস্থাও।
সম্প্রতি একটি প্রেস বিবৃতিতে ব্লু অরিজিন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে তাদের আসন্ন স্পেস স্টেশনের নাম হবে অরবিটাল রিফ। মহাকাশে বাণিজ্যিক পার্ক হিসেবে মিশ্র পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হবে এই স্পেস স্টেশন বা বিজনেস পার্ক। এই বাণিজ্যিক পার্ক মাইক্রোগ্র্যাভিটি সংক্রান্ত গবেষণা এবং উৎপাদনকে সমর্থন করবে। বাণিজ্যিক স্পেস কোম্পানি Sierra Space এবং Boeing and Arizona State University- র সঙ্গে মিলিত হয়ে যৌথভাবে এই কাজ হবে।
ব্লু অরিজিন সংস্থার আধিকারিক ব্রেন্ট শেরউড জানিয়েছেন, গত ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নাসা এবং অন্যান্য স্পেস এজেন্সি অরবিটাল স্পেস ফ্লাইট এবং স্পেস হ্যাবিটেশন সেটিং তৈরি করছে। মূলত মহাকাশ জগতে ব্যবসার পদার্পণ হয়েছে এভাবে। ব্লু অরিজিন সংস্থার কথায়, তারা মহাকাশে মানুষের প্রবেশের ব্যাপ্তি বাড়াতে চায়। শুধু তাই নয়, সব কাজ যেন কম খরচে হয় এবং তার মধ্যেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা ও পরিষেবা দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করবেন ব্লু অরিজিন কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে নাসা। আগামী বছরগুলির মধ্যে এই প্রাইভেট আউটপোস্ট অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশ সংস্থা Axiom নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এর মাধ্যমে স্পেস স্টেশন ডেভেলপ করতে হবে। প্রাথমিক ভাবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরবর্তীকালে ফ্রি-ফ্লায়িং হবে এই স্পেস স্টেশন। গত সপ্তাহেই স্পেস সার্ভিস কোম্পানি Nanoracks, চুক্তিবদ্ধ হয়েছে Voyager Space এবং Lockheed Martin- এর সঙ্গে। ২০২৭ সালের মধ্যে একটি পরিকল্পত স্পেস স্টেশন তৈরি করবে এইসব সংস্থা, যার নাম হবে স্টারল্যাব।
ইতিমধ্যেই ব্লু অরিজিনের স্পেস ফ্লাইটে চড়ে মহাকাশে ঘুরে এসেছেন জেফ বেজোস। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই ও অন্যান্য নভশ্চরারা। এর পাশাপাশি আবার কানাডিয়ান অভিনেতা উইলিয়াম শাটনারকেও মহাকাশে ঘুরিয়ে এনেছে ব্লু অরিজিনের স্পেসক্র্যাফট।
আরও পড়ুন- আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে প্রথম গ্রহের সন্ধান পেয়েছে নাসা!
আরও পড়ুন- Artemis 1: নাসা পিছিয়ে দিল Artemis- এর অভিযান, ২০২২ সালে হবে প্রথম উড়ান
আরও পড়ুন- Shijian 21: ‘স্পেস ডেব্রিস’ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নতুন স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে চিন