আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে প্রথম গ্রহের সন্ধান পেয়েছে নাসা!
সাম্প্রতিক গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিজ্ঞানীরা একথা বলেছেন যে এই উজ্জ্বল বস্তুটি আসলে একটি গ্রহই। তবে একদম সুনিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে।
মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার চন্দ্র এক্স-রে টেলিস্কোপ আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি অর্থাৎ আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে প্রথম গ্রহের সন্ধান পেয়েছে। জানা গিয়েছে, Messier ৫১ গ্যালাক্সিতে এই সিগন্যাল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এই ছায়াপথ পৃথিবী থেকে ২৮ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। নাসার চন্দ্র অবজারভেটরি এমন ভাবে তৈরি হয়েছে এবং এর ডিজাইন এমনই যে, এই টেলিস্কোপ যেকোনও ধরনের উত্তপ্ত অঞ্চল থেকে এক্স-রে নির্গমন হলে তা ডিটেক্ট করতে পারে অর্থাৎ টেলিস্কোপে তা ধরা পড়ে।
এই ধরনের উত্তপ্ত এলাকা বলছে বিস্ফোরণ হওয়া নক্ষত্র, একসঙ্গে অনেকগুলো ছায়াপথ জটবদ্ধ হয়ে থাকা অর্থাৎ ক্লাসটার অফ গ্যালাক্সি এবং ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের আশপাশের অংশকে বোঝায়। সম্প্রতি নাসার এই চন্দ্র এক্স-রে এমন একটি জিনিস খুঁজে পেয়েছেন যেখানে রয়েছে প্রচুর উজ্জ্বলতা। সাধারণ এমনটা তখনই দেখা যায় যখন কোনও একটি গ্রহ একটি নক্ষত্রের সামনে থাকে। আর সেই সময় নক্ষত্রের কিছুটা আলো ওই গ্রহের উপর পড়ে বা বলা ভাল নক্ষত্রের আলোর কিছুটা অংশে বাধা দেয় সামনে থাকা ওই গ্রহ। যার ফলে ওই গ্রহকে উজ্জ্বল দেখায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সমস্ত উজ্জ্বল গ্রহ দেখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ‘এক্সোপ্ল্যানেট’ আবিষ্কার করেন। এই এক্সোপ্ল্যানেট হল সেই সমত গ্রহ যারা সূর্য এবং পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। এই গবেষণার পুরোধা ছিলেন কেমব্রিজের Harvard-Smithsonian Center for Astrophysics- এর Dr. Rosanne Di Stefano। এছাড়াও এই আবিষ্কারে তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁর সহকর্মীরাও। নাসার চন্দ্র এক্স-রে টেলিস্কোপ যা স্থল এবং মহাকাশভিত্তিক, সেটি ব্যবহার করে অপটিক্যাল লাইটের গভীরে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে মানুষ যে ধরনের ইলেকত্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন দেখতে পায়, সেটাই দেখেছেন। আর এই পদ্ধতিতে হাজার হাজার নতুন গ্রহের আবিষ্কার সম্ভব।
সম্প্রতি যে গবেষণা হয়েছে সেক্ষেত্রে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে পর্যবেক্ষণ করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই সময়ের মধ্যে এক্স-রে নিষ্কাশন একদম শূন্যে নেমে গিয়েছিল। আর তার থেকে বৈজ্ঞানিকরা ধারণা করেছেন যে এই নতুন গ্রহের (ক্যান্ডিড প্ল্যানেট) আয়তন স্যাটার্ন বা শনি গ্রহের কাছাকাছি হতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিজ্ঞানীরা একথা বলেছেন যে এই উজ্জ্বল বস্তুটি আসলে একটি গ্রহই। তবে একদম সুনিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন- Artemis 1: নাসা পিছিয়ে দিল Artemis- এর অভিযান, ২০২২ সালে হবে প্রথম উড়ান
আরও পড়ুন- Shijian 21: ‘স্পেস ডেব্রিস’ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নতুন স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে চিন