AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Blackhole’s Jet Rays Hitting Earth: কৃষ্ণগহ্বরের ক্ষুধা বাড়ছে, নির্গত রশ্মিতে আচমকাই ধ্বংসের মুখে পৃথিবী?

Space News: এই ধরনের ব্ল্যাকহোল থেকে নির্গত রশ্মির তীব্রতা হয় মারাত্মক, এবং এই রশ্মিগুলো ঘূর্ণির ন্যায় ঘুরতে-ঘুরতে এগিয়ে আসে। রশ্মির এগিয়ে আসার ধরণ অনেকটা মানুষের DNA-এর মতোই বলে মত গবেষকদের।

Blackhole's Jet Rays Hitting Earth: কৃষ্ণগহ্বরের ক্ষুধা বাড়ছে, নির্গত রশ্মিতে আচমকাই ধ্বংসের মুখে পৃথিবী?
| Updated on: Aug 04, 2023 | 5:51 PM
Share

মহাশূন্যে (Space) ভেসে বেড়াচ্ছে লক্ষ-লক্ষ ছায়াপথ (Galaxy)। তারই মাঝে রয়েছে শূন্যস্থান (Void), রয়েছে গ্রহ আর নক্ষত্রের ভিড়, আর রয়েছে ‘কৃষ্ণগহ্বর’ (Blackholes)। এই সকল ব্ল্যাকহোলদের মধ্যে একই সঙ্গে লুকিয়ে সৃষ্টির উপাখ্যান ও ধ্বংসের সূত্র। ফলত ব্ল্যাকহোল বা কোয়াজারকে (Quasar) চেনার চেষ্টা মানুষ করে এসেছে বরাবরই। তবে এবার একটি ব্ল্যাকহোলের কু-দৃষ্টিতে আমাদের নীল গ্রহ! তাহলে কি ‘শেষের সে দিন’ আসন্ন?

Markarian 421 Blackhole's jet rays heating Earth, what is the danger?

ব্ল্যাকহোলের মেরুতে ঘটে ভয়াবহ ঘটনা!

মহাকাশবিজ্ঞানীদের মতে, ‘মার্কারিয়ান ৪২১’ (Markarian 421) নামক একটি অতিবৃহৎ কৃষ্ণগহ্বর সরাসরি রশ্মি ও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা (Particles) নিক্ষেপ করছে পৃথিবীর উপর! সাধারণত ছায়াপথের ঠিক মাঝে কোনও ব্ল্যাকহোল অবস্থান করলে তার আশেপাশে ঘিরে থাকে একটি Accretion Disk। এই ডিস্কই গহ্বরকে খাদ্যের যোগান দেয় বলে জানাচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তবে ডিস্কের সব উপাদান গিলে খায় না ব্ল্যাকহোল, উদ্বৃত্ত অংশ বয়ে চলে যায় গহ্বরের দুই মেরুতে, আর তখনই ঘটে ভয়াবহ ঘটনা! প্রায় আলোর সমান গতিবেগে সেই উপাদানগুলো ক্ষুদ্র কণায় ভেঙে নিক্ষেপিত হয় দূরের কোনও গ্যালাক্সিতে।

কতটা বিপদে পৃথিবী?

কৃষ্ণগহ্বরের গামা রশ্মি (Gama Ray) বা অন্যান্য তীব্র রশ্মি পৃথিবীর দিকে নিক্ষেপিত হচ্ছে বলেই মত গবেষকদের। যদিও সেই ব্ল্যাকহোল রয়েছে নীলগ্রহের থেকে প্রায় ৪০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের ‘ঊর্ষা মেজর’ (Ursa Major) নক্ষত্রপুঞ্জে (Constellation)। এই প্রথম নয়, ইতিপূর্বেও অন্যান্য কৃষ্ণ’রাক্ষসের’ সম্মুখীন হয়েছে আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথ (Milky Way Galaxy)। বারংবার নানা গ্রহাণু বা উল্কাপিণ্ড ছুটে এসেছে আমাদের সাধের গ্রহের দিকে, তবে কোনওবারেই সমস্যায় পড়েনি মানবসভ্যতা। তবে এবারের কৃষ্ণগহ্বরটি আকারে-আয়তনে বেশ ভারী বলেই মত গবেষকদের। তাহলে কি বড়সড় কোনও প্রলয় আসতে চলেছে? উত্তর মিলল বিজ্ঞানীদের থেকেই।

Markarian 421 Blackhole's jet rays heating Earth, what is the danger?

কাছে এগোতেই উজ্জ্বল, আরও উজ্জ্বল!

মার্কারিয়ান ৪২১ থেকে বেরিয়ে আসা রশ্মিগুলো অসীম ক্ষমতার অধিকারী! লক্ষ-লক্ষ আলোকবর্ষ দীর্ঘ এই রশ্মির ভিতরে থাকা কণাগুলোর গতি আলোর সমান হয় বলে ঔজ্জ্বল্য হয় মারাত্মক! অ্যাম্বুল্যান্স যত এগিয়ে আসে, তার সাইরেন ততধিক স্পষ্ট ও জোরে শোনায়, একইভাবে এই রশ্মিগুলো আমাদের দিকে যত এগিয়ে আসে, ততই বেশি উজ্জ্বল দেখায়। গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এই ‘জেট’গুলোর (Jets) ঔজ্জ্বল্য যে কোনও নক্ষত্রের থেকে বেশি হতে পারে। সম্প্রতি Space.com নামক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা।

Markarian 421 Blackhole's jet rays heating Earth, what is the danger?

ঘুরতে-ঘুরতে এগোচ্ছে রশ্মি!

ইতিপূর্বের গবেষণা মোতাবেক, এই ধরনের ব্ল্যাকহোল থেকে নির্গত রশ্মির তীব্রতা হয় মারাত্মক, এবং এই রশ্মিগুলো ঘূর্ণির ন্যায় ঘুরতে-ঘুরতে এগিয়ে আসে। রশ্মির এগিয়ে আসার ধরন অনেকটা মানুষের DNA-এর মতোই বলে মত গবেষকদের। মহাকাশবিজ্ঞানীদের মতে, এই জেটগুলোর ভিতরে তীব্র চৌম্বকীয় ক্ষেত্র থাকে, যা ক্ষতিকর হতে পারে। যদিও এতটাই দূরে এই ব্ল্যাকহোলের অবস্থান যে, তা এখনই পৃথিবীর স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে অক্ষম, বলছে গবেষণা।