অবশেষে জানা গিয়েছে যে মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছে নাসার James Webb স্পেস টেলিস্কোপ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা এই টেলিস্কোপ মহাকাশে অভিযান শুরু করলে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। অসংখ্য আকর্ষণীয় এবং অজানা তথ্যের হদিশ পাবেন বিজ্ঞানীরা। সেই সঙ্গে মহাকাশের এক অজানা দিক প্রসঙ্গে জানার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষও। জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ ডিসেম্বর এই James Webb টেলিস্কোপ লঞ্চ করবে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা।
প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৭৩,৭০০ কোটি টাকা) খরচ হয়েছে এই টেলিস্কোপ তৈরি করতে। নাসার সঙ্গে সঙ্গে James Webb স্পেস টেলিস্কোপ তৈরিতে সাহায্য করেছে ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি। জানা গিয়েছে, French Guiana- র স্পেসপোর্ট থেকে Ariane 5 rocketলঞ্চ করা হবে। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার Redondo Beach- এ রয়েছে এই টেলিস্কোপ। সেখানে থেকে সমুদ্রপথে নিয়ে আসা হবে এই স্পেস টেলিস্কোপ। জানা গিয়েছে, এই প্রথমবার নাসার কোনও স্পেস টেলিস্কোপ Ariane- এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। Arianespace- এর Ariane রকেটের পাশাপাশি ইউরোপীয়ান স্পেস টিমের সঙ্গেও এই প্রথম যুক্ত হয়ে কোনও স্পেস টেলিস্কোপ নির্মাণ করেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা। এমনটাই জানিয়েছেন, Arianespace- এর সিইও Stephane Israel।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে প্রথম James Webb Space Telescope- এর উপর কাজ শুরু হয়েছিল। তখন বিজ্ঞানীরা ঠিক করেছিলেন ২০০৭ সাল নাগাদ এই টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠাবেন। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটি ও অন্যান্য গন্ডগোলের কারণে এই টেলস্কোপের লঞ্চ এক দশকেরও বেশি সময় পিছিয়ে গিয়েছে। তবে এবার আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা। অন্যদিকে এই বছরই James Webb Space Telescope মহাকাশে পাঠানো হবে শুনে উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন জ্যোতির্বিদ্যায় কৌতূহলী মানুষরাও।
জানা গিয়েছে, নাসার James Webb স্পেস টেলিস্কোপে যে সুবিশাল আয়তনের আয়না রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ১৮টি ষড়ভুজাকৃতির বিভাগ বা হেক্সাগোনাল সেগমেন্ট। এর উপরে রয়েছে সোনার আলট্রা-থিন আস্তরণ। বলা হচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্তম এবং অন্যতম শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপ নাসার James Webb স্পেস টেলিস্কোপ। এর মধ্যে রয়েছে ২১ ফুট ৪ ইঞ্চি অর্থাৎ ৬.৫ মিটারের বিশাল একটি আয়না। তার নাম গোল্ডেন মিরর। আগেই শোনা গিয়েছিল, চলতি বছরের শেষভাগে এই টেলিস্কোপ লঞ্চ করা হবে। সেই মতোই ১৮ ডিসেম্বর লঞ্চ হচ্ছে এই টেলিস্কোপ। এর মাঝে অবশ্য একবার শোনা গিয়েছিল, ৩১ অক্টোবর এই টেলিস্কোপ লঞ্চ হতে পারে। তবে সেই দিন বদলে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ১.৬ মিলিয়ন কিলোমিটারের সফরে পাড়ি দেবে নাসার এই বৃহত্তম টেলিস্কোপ। ব্রহ্মাণ্ডের উৎস এবং সৃষ্টির কারণ খোঁজার অভিযানে পাড়ি দেওয়া জন্য একদম তৈরি রয়েছে James Webb স্পেস টেলিস্কোপ। -২৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও কাজ করবে এই টেলিস্কোপ।
আরও পড়ুন- ফের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’র তিনগুণ বড় গ্রহাণু! উদ্বেগে নাসার বিজ্ঞানীরা