হারিকেন ডোরিয়ান, মহাকাশ থেকে কেমন দেখতে লাগে এই ঝড়? ছবি শেয়ার করল নাসা
ডোরিয়ান, সবচেয়ে শক্তিশালী এই হারিকেন মহাকাশ থেকে দেখতে কেমন লাগে সেই ছবিই তুলেছিল নাসা। ২০১৯ সালের তোলা সেই ছবি এবার শেয়ার করেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি। দু'বছর আগের ওই ছবি দেখে মুগ্ধ নেটাগরিকরা।
মহাকাশ থেকে ঠিক কেমন দেখতে লাগে পৃথিবীকে, এ যাবৎ তার অনেক ধরনের ছবিই প্রকাশ করেছে নাসা। তবে এবার মহাকাশ থেকে ঘূর্ণিঝড় হারিকেন কেমন দেখতে লাগে, তারই একটি চমৎকার ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি। বাস্তবে অবশ্য হারিকেন যথেষ্টই ভয়ানক। যে এলাকার উপর দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়, প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয় সেখানকার। তবে মহাকাশ থেকে তোলা স্যাটেলাইটে ইমেজে দেখতে ভারী চমৎকার লেগেছে হারিকেন ডোরিয়ান।
জানা গিয়েছে, এই ছবি ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর তোলা হয়েছিল। এটি হারিকেন ডোরিয়ান- এর ছবি। ২০১৯ সালে অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে হারিকেন সিজনের শুরুতে সর্বোচ্চ শক্তিশালী হারিকেন ডোরিয়ানের এই ছবি তোলা হয়েছিল। ডোরিয়ান, নির্মাণ শুরুর সময় থেকে আছড়ে পড়া পর্যন্ত সাংঘাতিক শক্তি সঞ্চয় করে রাখে। ইনস্টাগ্রামে এই ছবি শেয়ার করেছে নাসা। সেখানে মার্কিন স্পেস এজেন্সি বিভিন্ন স্তরের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে যে কীভাবে হারিকেন তৈরি হয় এবং এবছর কীভাবে হবে।
View this post on Instagram
মূলত পয়লা জুনকেই অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে হারিকেন সিজনের শুরু হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। মার্কিন সরকারের National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA) ইতিমধ্যেই চলতি বছর বেশ কয়েকটি ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। গত বছরও প্রায় ৩০টি ঘূর্ণিঝড় দেখা গিয়েছিল এই হারিকেন সিজনে। তার মধ্যে ১২টির আবার ল্যান্ডফল হয়েছিল আমেরিকাতেই। এই ৩০টি ঝড়ের আলাদা আলাদা নামকরণও করা হয়েছিল।
NOAA-র পূর্বাভাস চলতি বছর, হারিকেন সিজনে ১৩ থেকে ২০টি (named) অ্যাটলান্টিক ঝড় লক্ষ্য করা যাবে। জুনের ১ তারিখ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এইসব ঝড় হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১০টি হারিকেনের আকার ধারণ করবে। তার মধ্যে আবার ৩ থেকে ৫টি হবে প্রবল শক্তিশালী হারিকেন। তবে ২০২০ সালের মতো ব্যাপক দুর্যোগের আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছে NOAA।
আরও পড়ুন- মঙ্গলগ্রহের বুকে রোভার পারসিভের্যান্সের ‘রোড ট্রিপ’, অ্যানিমেশনে দেখুন ভিডিয়ো
নাসা যে ছবি প্রকাশ করেছে সেই স্যাটেলাইট ইমেজের সাহায্যে এটা বোঝা গিয়েছে যে, হারিকেনের থ্রি-ডি ছবির পাশাপাশি, ঝড়ের গতিবিধি, ঝড়ের দাপটে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, হারিকেন কতটা শক্তিসম্পন্ন, হারিকেন হওয়ার ফলে কোন জায়গায় কতটা সাহায্য প্রয়োজন এবং সে জন্য পরিকল্পনা করা… এইসবই করতে পারে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা।