মঙ্গলগ্রহের বুকে রোভার পারসিভের্যান্সের ‘রোড ট্রিপ’, অ্যানিমেশনে দেখুন ভিডিয়ো
মঙ্গলগ্রহে কি আদৌ প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে? কিংবা জল রয়েছে লালগ্রহে? লাখ টাকার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই নাসার রোভার পারসিভের্যান্স পাড়ি দিয়েছিল মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশে। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই লঞ্চ করা হয় এই রোভার।
মঙ্গলগ্রহের বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে নাসার পাঠানো রোভার পারসিভের্যান্স। সম্প্রতি এমনই একটি অ্যানিমেটেড ভিডিয়ো টুইট করেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি। সেখানে দেখা গিয়েছে, লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে রোভার পারসিভের্যান্স। ওই অ্যানিমেটেড ভিডিয়োতে সাদা রঙ দিয়ে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ বোঝানো হয়েছে। তার উপরেই দিব্যি চাকা গড়িয়ে এগিয়ে চলেছে রোভার।
নাসা- র তরফে জানানো হয়েছে, রোভার পারসিভের্যান্সের কাছে মঙ্গলগ্রহের কোনও রোড ম্যাপ নেই। নিজেই নিজের রাস্তা তৈরি করে নিয়েছে সে। লালগ্রহে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলো আবিষ্কার করে পর্যবেক্ষণ করা এখনও বাকি রয়েছে রোভারের। সেই সঙ্গে পারসিভের্যান্স যত সফর করবে, তত বেশি করে মঙ্গলগ্রহে থাকা বিভিন্ন জায়গা রোভারের সামনে আসবে। তারপর সেইসব দেখে পর্যবেক্ষণ করবে নাসার মার্স রোভার পারসিভের্যান্স।
With no road maps on Mars, I’m building my own as I go. There are lots of places I want to explore, and mapping while I drive will help me see and do more. Let the road trip begin. pic.twitter.com/cCaaV3M9Gs
— NASA's Perseverance Mars Rover (@NASAPersevere) May 28, 2021
মঙ্গলগ্রহে কি আদৌ প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে? কিংবা জল রয়েছে লালগ্রহে? লাখ টাকার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই নাসার রোভার পারসিভের্যান্স পাড়ি দিয়েছিল মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশে। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই লঞ্চ করা হয় এই রোভার। মার্কিন স্পেস এজেন্সির লক্ষ্য হল, রোভার পারসিভের্যান্স এবং মার্স হেলিকপ্টার ingenuity- এর সাহায্যে মঙ্গলগ্রহ থেকে ভাঙা পাথর, মাটি এইসব নমুনা সংগ্রহ করে আনা।
ছোট গাড়ির আকারের এই রোভারে লাগানো রয়েছে চাকা। ১০ ফুট লম্বা, ৯ ফুট চওড়া এবং ৭ ফুট লম্বা এই রোভার পারসিভের্যান্সের ওজন ১০২৫ কিলোগ্রাম।
মঙ্গলগ্রহে রোভার পারসিভের্যান্স পাঠিয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা। সেই সঙ্গে পাঠানো হয়েছে হেলিকপ্টার Ingenuity। পৃথিবীর বাইরে এই প্রথম অন্য কোনও গ্রহে সফল ভাবে উড়েছে হেলিকপ্টার। তাও একাধিকবার। এবার সেই হেলিকপ্টারের উড়ানের শব্দ, অর্থাৎ ব্লেড ঘোরার শব্দও শোনা গিয়েছে রোভারের মাধ্যমে। গত ৩০ এপ্রিল চতুর্থ বারের জন্য লালগ্রহের বুকে উড়েছে হেলিকপ্টার Ingenuity। সেই সময়েই এই শব্দ ধরা পড়েছে রোভারের সুপার ক্যামে থাকা শক্তিশালী মাইক্রোফোনে। এই মাইক্রোফোন আসলে একটি লেসার ইন্সট্রুমেন্ট।
আরও পড়ুন- পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু 2021 KT1, ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক’ ঘোষণা করল নাসা
আরও একটি অসাধ্য সাধন করেছে রোভার পারসিভের্যান্স। মঙ্গলগ্রহের অত্যন্ত পাতলা কার্যত ফিনফিনে বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেন বের করে আনা মোটেও সহজ কাজ নয়। বরং একপ্রকার অসম্ভব। কিন্তু এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছে রোভার পারসিভের্যান্স। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি লাল গ্রহের মাটি ছুঁয়েছিল রোভার। প্রায় সাতমাস সফর করে মঙ্গলগ্রহে পৌঁছেছে এই ছয় চাকার যান। গত ২০ এপ্রিল মঙ্গলের বুকে ৬০তম দিন ছিল রোভারের। আর সেই দিনই এই অসাধ্য সাধন করেছে পারসিভের্যান্স। লাল গ্রহের বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সংগ্রহ করে, তাকে শ্বাসযোগ্য অক্সিজেনে পরিণত করেছে পারসিভের্যান্স।