NASA’s Video on Saturn: শনির চারটি উপগ্রহের প্যারেডের ভিডিয়ো ছাড়ল নাসা, নেটিজেনরা হতবাক!
নাসার এই ভিডিয়ো থেকে ইতিমধ্যেই নানান ধরনের তথ্য সংগ্রহের কাজও শুরু হয়ে গেছে। ঠিক কী কারণে এই নিখুঁত সজ্জা হয়েছে তা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন। তবে, এসবের বাইরে, শুধুমাত্র দৃষ্টিগত দিক দিয়ে নাসার এই ক্লিপটি অতি মাত্রায় নান্দনিক ছিল।
প্যারেড আমরা সবাই দেখেছি। ছোটবেলায় প্যারেডের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও থেকেছি অনেকেই। এবার সেই প্যারেড একটা অন্য মাত্রা পেল। শনি গ্রহ হয়তো সৌর জগতের সবচেয়ে আড়ম্বরপূর্ণ গ্রহগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ। শনির বলয়ের মধ্যেই এত বেশি পরিমাণে রহস্য রয়েছে যে বিজ্ঞানীরা সব সময় অবাক হয়ে এসেছেন।
এবার সেই শনির একাধিক উপগ্রহের প্যারেডের একটি ভিডিয়ো নাসার তরফ থেকে ছাড়া হয়েছে। সেই ভিডিয়োকে ঘিরে রীতিমতো তুলকালাম কান্ড। মানুষ সেই ভিডিয়ো দেখে এতটাই অবাক হয়েছে যে তারা প্রশংসা করবে নাকি বিস্মিত হবে, গুলিয়ে ফেলেছে। স্পষ্টতই, আমরা যেখানে পৃথিবীর মধ্যেই কিছু জায়গা দেখে অবাক হয়ে যাই, সেখানে পৃথিবীর বাইরের যে কোনও জিনিসই আমাদের খুব সহজেই বিস্মিত করে দিতে পারে।
নাসার শেয়ার করা একটি ভিজ্যুয়ালাইজেশন ভিডিয়ো দেখেই সম্প্রতি মানুষ অবাক হয়ে গেছিল। এই পোস্টটিতে শনির উপগ্রহগুলোর একটা প্যারেড দেখানো হয়েছে। লাইন বেঁধে যেন নিজের কমরেডের নির্দেশ মেনে এগিয়ে চলেছে তারা। লক্ষ্য স্থির, গতি মন্থর কিন্তু উদ্দেশ্য দৃঢ়। যেন কয়েকটা সেনা এগিয়ে চলেছে। তাদের মধ্যে নিয়ম শৃঙ্খলা গত কোনওই ত্রুটি নেই।
View this post on Instagram
ভিডিয়োটি হাবল টেলিস্কোপের সাহায্যে নেওয়া হয়েছিল। নাসার ইনস্টাগ্রাম পেজে এই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়। “চাঁদের প্যারেডের সময়। এই দর্শনীয় হাবল ভিজ্যুয়ালাইজেশনে দেখা যায় যে শনির চারটি চাঁদ তাদের গ্রহকে ঘিরে এগিয়ে চলল। বরফ শীতল চাঁদগুলো অর্থাৎ এনসেলাডাস এবং ডিওন বাম দিক ঘেঁষে, বড় কমলা চাঁদ টাইটান এবং বরফ শীতল মাইমাস ডানদিকে রয়েছে।
পোস্টটি প্রায় একদিন আগে শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টটি শেয়ার করার পর থেকে প্রায় ৭২,০০০ লাইক সংগ্রহ করেছে। ক্রমে সেই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পোস্টটি মানুষকে বিভিন্ন কমেন্ট শেয়ার করার জন্যও অনুপ্রাণিত করেছে।
একজন ইনস্টাগ্রাম ইউজার লিখেছেন, “এটা বাস্তব জীবনে দেখতে খুব ভাল লাগবে না।” “হায় ঈশ্বর, এত সুন্দর!” আরেকজন ইউজার কমেন্ট করেছেন। অন্য একজন লিখেছেন, “এত সুন্দর!”
মোট কথায়, নাসার এই ভিডিয়ো থেকে ইতিমধ্যেই নানান ধরনের তথ্য সংগ্রহের কাজও শুরু হয়ে গেছে। ঠিক কী কারণে এই নিখুঁত সজ্জা হয়েছে তা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন। তবে, এসবের বাইরে, শুধুমাত্র দৃষ্টিগত দিক দিয়ে নাসার এই ক্লিপটি অতি মাত্রায় নান্দনিক ছিল।