বৃহস্পতির ‘বিগেস্ট মুন’ Ganymede- এর কাছাকাছি পৌঁছে দুর্দান্ত ছবি তুলেছে নাসার স্পেসক্র্যাফট জুনো
গত ২০ বছরে বৃহস্পতি গ্রহের উপগ্রহ Ganymede- এর এত কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি কোনও স্পেসক্র্যাফট। তবে এবার পৌঁছে গিয়েছিল নাসার স্পেসক্র্যাফট জুনো। তার সাহায্যে Ganymede- এর এত 'ক্লোজ ভিউ' পাওয়া গিয়েছে।
সৌর জগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ হল জুপিটার অর্থাৎ বৃহস্পতি। আর এই গ্রহেরই উপগ্রহ হল Ganymede। একে বলা হয় Jupiter’s biggest moon। শুধু বৃহস্পতির উপগ্রহ হিসেবেই নয়, আকার-আয়তনে বড় হওয়ায় সৌর জগতেও জায়গা করে নিয়েছে Ganymede। বৃহস্পতির এই উপগ্রহর ছবি তুলেছে নাসার জুনো স্পেসক্র্যাফট। এই প্রথম Ganymede- এর ছবি তুলেছে কোনও স্পেসক্র্যাফট। উল্লেখ্য, গত দু’দশকে এই নিয়ে দু’টি স্পেসক্র্যাফটই এই হিমশীতল চাঁদের (icy moon) কাছে পৌঁছতে পেরেছে। তার মধ্যে একটি হল জুনো স্পেসক্র্যাফট।
গত সোমবার Ganymede- এর পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ই তার দু’টি ছবি তুলেছে নাসার জুনো স্পেসক্র্যাফট। ইতিমধ্যেই এই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন নাসা কর্তৃপক্ষ। এই ছবি থেকে Ganymede- এর একদম কাছাকাছি অর্থাৎ ক্লোজ ভিউ পাওয়া গিয়েছে। যার সাহায্যে বিজ্ঞানীদের পক্ষে এবার বোঝা সম্ভব হবে যে আমাদের সৌর মণ্ডলের একমাত্র চাঁদ আসলে ঠিক কেমন। এর গঠন প্রকৃতি কেমন। জানা গিয়েছে, আয়তনে বৃহস্পতির উপগ্রহ Ganymede, বুধ গ্রহের থেকে প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি।
View this post on Instagram
নাসার তরফে জানানো হয়েছে বৃহস্পতির কক্ষপথে থাকা জুনো ক্যাম ইমেজার এবং স্টেলার রেফারেন্স ইউনিট স্টার ক্যামেরা। এই দুটো দিয়ে Ganymede- এর ছবি তোলা হয়েছে। এইসব ছবিতে Ganymede- এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন গর্ত, গাঢ় অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ, উজ্জ্বল ভূ-গঠন সবই বেশ স্পষ্ট ভাবে বোঝা গিয়েছে। নাসা জানিয়েছেন, গত ২০ বছরে Ganymede- এর এত কাছে পৌঁছতে পারেনি কোনও স্পেসক্র্যাফট। গত সোমবার, যখন এই ছবি তোলা হয়েছে, সেই সময় নাসার জুনো স্পেসক্র্যাফটের থেকে Ganymede- এর দূরত্ব ছিল প্রায় ১০৩৮ কিলোমিটার।
বৃহস্পতির চাঁদ Ganymede আদতে একটি শীতল উপগ্রহ। এর মধ্যে ঠিক কী কী উপাদান রয়েছে, এর বায়ুমণ্ডলই বা কেমন, এছাড়া এখানকার আয়নোস্ফিয়ার, ম্যাগনেটোস্ফিয়ার এবং কম্পোজিশন অর্থাৎ গাঠনিক উপাদান কী রয়েছে, নাসার জুনো স্পেসক্র্যাফটের তোলা ছবি দেখে তা বোঝার চেষ্টা করবেন বিজ্ঞানীরা।