অস্ট্রেলিয়ায় মিলল ‘নতুন প্রজাতির’ ডায়নোসরের জীবাশ্ম, বিশ্বের বৃহত্তম ডায়নোসরদের মধ্যে একটি হওয়ার সম্ভাবনা

অস্ট্রেলিয়ায় এমন এক ডায়নোসরের জীবাশ্ম নমুনা পাওয়া গিয়েছে, যা সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের আরও অনুমান, সম্ভবত বিশ্বের বৃহত্তম ডায়নোসরদের মধ্যে এটি একটি।

অস্ট্রেলিয়ায় মিলল 'নতুন প্রজাতির' ডায়নোসরের জীবাশ্ম, বিশ্বের বৃহত্তম ডায়নোসরদের মধ্যে একটি হওয়ার সম্ভাবনা
ছবি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2021 | 8:14 PM

অস্ট্রেলিয়ায় সন্ধান পাওয়া গিয়েছে এক অতিকায় ডায়নোসরের। বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, এই ডায়নোসরের প্রজাতি একদম নতুন। এর আগে এমন ডায়নোসরের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে প্যালিওনটোলজিস্টরা বলছেন। সম্ভবত এই ডায়নোসররাই আকার-আয়তনে অন্যতম বৃহত্তম, যারা একসময় দাপিয়ে বেড়াত ধরিত্রীর বুকে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৫ বছর আগে প্রথম এই প্রজাতির ডায়নোসরদের নমুনা খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। আনুমানিক ১০০ বছর আগে এদের বাসস্থান ছিল পৃথিবীতে। আদতে এরা টিটানোসর পরিবারের একটি অংশ হলেও, এদের মধ্যে অনেক নতুন বৈশিষ্ট্য দেখা গিয়েছে। অবশেষে এই প্রজাতির ডায়নোসরদের নাম দেওয়া হয়েছে, Australotitan cooperensis। বলা হচ্ছে, দাঁড়ালে এই ডায়নোসরদের উচ্চতা হবে ৫ থেকে ৬.৫ মিটার। আর লম্বায় অর্থাৎ দৈর্ঘ্যে ২৫ থেকে ৩০ মিটার। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা একে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম ডায়নোসরের আখ্যা দিয়েছেন।

পশ্চিম ব্রিসবেনের Eromanga Natural History Museum- এর ডিরেক্টর রবিন ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, সংরক্ষণ করা হাড় (limb)- এর সাইজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, টিটানোসর প্রজাতির এই নতুন ডায়নোসর বিশ্বের পাঁচটি বৃহৎ ডায়নোসরদের দলে অনায়াসে নাম লেখাতে পারবে। ম্যাকেঞ্জির পারিবারিক ফার্মেই ২০০৬ সালে এই ডায়নোসরের জীবাশ্ম বা ফসিল পাওয়া গিয়েছিল। সেইসব হাড়গোড় সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। ব্রিসবেনের পশ্চিমে ১০০০ কিলোমিটার দূরে এরোমাঙ্গা বেসিন যার আর এক নাম ‘কুপার’ সেখানে পাওয়া গিয়েছিল এইসব ডায়নোসরের হাড়গোড়। ২০০৭ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আনা হয় ওই ডায়নোসরের কঙ্কাল।

আরও পড়ুন- মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, সঙ্গে নেবেন ভাই মার্ককে

অন্যদিকে কুইন্সল্যান্ড মিউজিয়ামের এক palaeontologist স্কট হকনাল জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় খুঁজে পাওয়া এই ডায়নোসর আসলে কোন প্রজাতি, তা খুঁজে বের করা অত্যন্ত দীর্ঘ এবং পরিশ্রমসাধ্য একটি কাজ। অসংখ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দীর্ঘ গবেষণার পর এই ডায়নোসরের প্রজাতি নির্দিষ্ট করা সম্ভব। আপাতত, সংরক্ষণ করা ডায়নোসরের হাড়গুলোর থ্রি-ডি স্ক্যান করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এর সঙ্গে মিল রয়েছে, অর্থাৎ বৈশিষ্ট্য মিলে যাচ্ছে এমন ডায়নোসরের প্রজাতিদের সঙ্গেও নমুনা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।